শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ২১ মৃতদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ২১ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে লঞ্চটি থেকে মোট ২৭ মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।

বিআইডব্লিটিএ আজ ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধারের পর এসকল মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক।

গোলাম সাদেক জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়। এর পর এর ভেতর থেকে ২১ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে এবং বেলা সোয়া ১টার দিকে উদ্ধারকাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে উদ্ধার করা হয় আরও পাঁচজনের লাশ।যাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর একজন অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গে রাখা হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত ২টা পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা বারিক ঘটনাস্থল থেকে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছেন।

হস্তান্তর করা লাশের মধ্যে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ সদরের মালপাড়া এলাকার হারাধন সাহার স্ত্রী সুনিতা সাহা (৪০), উত্তর চরমসুরা এলাকার অলিউল্লাহর স্ত্রী সখিনা বেগম (৪৫), একই এলাকার প্রীতিময় শর্মার স্ত্রী প্রতিমা শর্মা (৫৩), সদরের নয়াগাঁও পূর্বপাড়া এলাকার মিথুন মিয়ার স্ত্রী সাউদা আক্তার লতা (১৮)।

এদিকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ছবিতে দেখা গেছে, বড় একটি কার্গোজাহাজ যাত্রীবাহী একটি লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে পিষে চলে যায়। আর এতেই ঘটে এই নৌ দূর্ঘটনা।

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে।কার্গোর আঘাতে ডুবে যায় দোতলা ছোট আকারের যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘সাবিত আল আসাদ’।

লঞ্চডুবির এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন আমাকেসহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরীকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটিতে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশের প্রতিনিধিও রয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।