দোষ একা চালবাজ খানের নয়, নায়িকা নামের মেয়েগুলোও চরম বেহায়া অসভ্য

শাকিব খান-বুবলীর গোপন বিয়ে ও সন্তান নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। যদিও এখন সবকিছু প্রকাশ করেছেন তারা। তবে সমালোচনা থামছে না। এবার তাতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী, নাট্যকার, পরিচালক-প্রযোজক ও সাংবাদিক ফা’ল্গুনী হামিদ। একটি এফএম রেডিওর সেলিব্রেটি টক-শোতে বুলীর সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠেন তিনি। পক্ষ নেন অপু বিশ্বাসের।

ফাল্গুনী হামিদের এমন কথা কানে পৌঁছেছে বুবলীর। এর প্রেক্ষিতে তার নাম উল্লেখ না করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন নায়িকা। এরপর বুবলীকে নিয়ে লেখিকা ও প্রবাসী সাংবাদিক মিলি সুলতানা ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে নায়িকাকে অজাত অভিনেত্রী বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি লিখেছেন, গরম ভাতে বিলাই বেজার- বুবলীকে ডিটারজেন্ট সাবান দিয়ে ধুয়ে দিয়েছেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফাল্গুনী হামিদ। তাই বুবলী বেজায় ক্ষেপেছেন ফাল্গুনী হামিদের উপর। বুবলী সেই কালিবিল্লি যে বিল্লি অপু বিশ্বাসের পথ কেটেছেন। আর কালিবিল্লি সবসময় অশুভ অপয়া। জাত অভিনেত্রী আর অজাত অভিনেত্রীর মধ্যে পার্থক্য আছে। শবনম বুবলী এক অজাত অভিনেত্রীর নাম।

বুবলী যখন অপু বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ বিদ্রুপ করেছিলেন তখনই তার সুন্দর মুখাবয়বের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অসভ্যতা প্রকাশ পেয়েছিল। বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফাল্গুনী হামিদ বুবলী সম্পর্কে বেশ যৌক্তিক মন্তব্য করেছেন। ফাল্গুনী হামিদের তিতা সত্য বুবলীর বদহজম হয়েছে। সত্য সবসময় নির্লজ্জ অসভ্যদের জন্য বিষফোঁড়া হয়।

তাই তিনি নিজের টাইমলাইন দূষিত করেছেন। ফাল্গুনী হামিদ সবার মনের কথা বলেছেন। আজকাল সত্য কথা বলা লোকের বড় অভাব। ফাল্গুনী হামিদের সাহসী বক্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ। বুবলীর পায়ের তলার মাটি শক্ত নয়। আজ তিনি নিজেকে স্পার্ম ডোনার শাকিব খানের ‘মাশুকা’ দাবি করলেও ভবিষ্যৎ তার অন্ধকার।

অচিরেই হয়ত আরেকজন পেট ঝুলিয়ে সেলফি তুলে শেয়ার দিয়ে বলবে, এই মধ্যপ্রদেশের ইজারাদার হলেন ‘চালবাজ খান’। স্পার্ম ডোনারের শিকারী চোখ নারীদেহ খুঁজে বেড়াচ্ছে আরেকটা আকাম করার জন্য। তার কাছে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ নয়। নারী নামক একখণ্ড ‘নরম মাং’সপি’ণ্ড’ প্রিভিলেজ পায় ওই স্পার্ম ডোনারের কাছে।

দোষ একা চালবাজ খানের নয়। নায়িকা নামের মেয়েগু’লোও চরম বেহায়া অসভ্য। বুবলী, পূজা চেরি বিশেষ মতলবে শাকিবকে সুগার বেবি এবং ব্ল্যাং’ক চেক বানিয়েছে। তার কাছে নারী হল ই’স্ত্রি করা শার্টের মত। গায়ে দেয়ার পর শার্টে ভাঁজ পড়লেই ট্র্যাশ করে দেয়।

তবে লোভী সস্তা এসব মেয়েদের এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। ফাল্গুনী হামিদ তার মন্তব্য বলেছিলেন, দোষটা শুধু শাকিব খানের নয়। দোষটা মেয়েদেরও হওয়া উচিত। অপু যখন ওর (শাকিব) সঙ্গে প্রেম করেছে বা বিয়ে করেছে তখন সেটি যৌক্তিক ছিল।

কারণ তারা একসঙ্গে জুটি ছিল। অভিনয় করেছে। প্রেম-ভালোবাসা হতেই পারে। বুবলী কেন? তুমি মাত্র এসেছো। এসেই শাকিবের প্রেমে পড়েছে। সে তোমার থেকে কত বড় বয়সে! নাম-যশের কারণে প্রেমে পড়ে তার সন্তান ধারণ করতে হবে—ইটস টু মাচ। শাকিবের সমালোচনাও করতে ভোলেননি তিনি। ফাল্গুনী হামিদ বলেন, একজন সুপারস্টারের গায়ে নায়িকারা এসে পড়তেই পারে।

কিন্তু আমি গ্রহণ করব কেন। আমরা যখন অভিনয় করেছি, টেলিভিশনের নায়িকা ছিলাম। গায়ে আমাদের এসে পড়েনি কেউ? কিন্তু আমরা কি গ্রহণ করেছি? কীভাবে ত্যাগ করতে হয় আমরা জানতাম।

শাকিবেরও এদের ত্যাগ করা উচিত। কেউ যদি তোমার গায়ে এসে পড়ে, তুমি তাদের গ্রহণ করছো কেন? পাত্তা দিচ্ছো কেন? তাহলে তুমি সুপারস্টার থাকতে পারো না।সুপারস্টারের তো একটা জায়গা থাকে। তুমি তো সেখান থেকে নেমে গেলে। এর প্রেক্ষিতে তার নাম উল্লেখ না করে পাল্টা জবাব দিয়েছেন বুবলী।

তিনি লিখেছেন, আপা, আপনি একাধারে লেখিকা, পরিচালক, নাট্যকার, অভিনেত্রী ও সাংবাদিকসহ নানান গুনে গু’ণা’ন্বিত। আপনি অনেক সিনিয়র একজন ব্য’ক্তিত্ব আমাদের এই মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রিতে এবং আপনার দ্বা’য়বদ্ধ’তা অনেক।

তিনি আরও লিখেছেন, আপনাকে আমি স’ম্মান করি কিন্তু যখন কোনো পার্টিকু’লার বিষয়ে যেটা একা’ন্তই কারও ব্য’ক্তিগত; সে বিষয়ে পু’রোটা না জেনে কোথাও বিচারকের মতো কোনো বি’চারমূল’ক কমেন্ট করেন, তখন আপনার কথার ভঙ্গিমা, শব্দের প্রয়োগ এবং একদিকে পক্ষপাতিত্বমূলক কমে’ন্টটা শু’নলে বু’ঝতে আর বাকি থাকে না আপনি সেই বিষয়ে বা যাকে নিয়ে বলছেন সে ব্যক্তিকে প্রপারলি না জেনেই কমেন্ট করছেন।

আপনার এ রকম আ’ক্রমণা’ত্মক মনোভাব পো’ষণ করা ক’মেন্টটা দেখে অবাক হয়েছি যে আমরা যাদের অভি’ভাবক ভাবছি তারা তাদের সকল সন্তানদের এক চোখে দেখেন না।এমন পক্ষপাতমূলক আচরণ দুঃখজনক বলে মনে করেন বুবলী। সেই সঙ্গে জানান, এমন হলে বড়দের কাছ থেকে কীভাবে শিক্ষা গ্রহণ করবেন! তবে মিলি সুলতানার বিস্ফোরক মন্তব্য নিয়ে এখনো কিছু বলেননি বুবলী।