মা–বাবা আমাকে শৈশব থেকেই অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চাইতেন: নমনি

‘মাশরাফি জুনিয়র’ নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে কিশোর অভিনেত্রী সাফানা নমনি। নাটকটি তাকে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। এখন নাটকের দর্শকদের কাছে পরিচিত মুখ তিনি। কাজ করতে চাম সিনেমাতেও। বাংলা সিনেমার নায়িকাদের মধ্যে শাবনূরের কাজ পছন্দের হলেও জয়া আহসান তার আইডল বলে জানা এই ক্ষুদে অভিনেত্রী।

সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের সাক্ষাৎকারে নিজের কাজের অভিজ্ঞতার কথা জানায় নমনি। সে বলে, শাবনূর আপা, জয়া আপার অভিনয় অনেক দেখেছি। শাবনূর আপা আমার পছন্দের অভিনেত্রী আর জয়া আপা আমার আইডল। আমি জয়া আপার মতো হতে চাই। সব সময় আপাকে ফলো করি।

ভবিষ্যতে আমি পারফেক্ট অভিনেত্রী হতে চায় জানিয়ে নমমি বলে, আমি যেহেতু থিয়েটার করিনি, তাই অভিনয় দেখে শিখতাম। এভাবেই নিয়মিত অভিনয় শিখছি। এখন আমার অভিনয় দেখে সবাই বলে আমি গডগিফটেড। এটাই আমার বড় অনুপ্রেরণা। আমি পড়াশোনাকে প্রথম প্রায়োরিটি দিয়ে অভিনয়টাই করে যেতে চাই।

পরিবারের মানুষজন সম্পর্কে সে বলে, আমার মা–বাবা, মামা—তাঁরা আমাকে শৈশব থেকেই অভিনেত্রী হিসেবে দেখতে চাইতেন। এভাবেই আমার মধ্যে অভিনয়ের ইচ্ছা জাগে। আমিও তখন থেকেই নাটক–সিনেমা দেখলেই লক্ষ করতাম, তারকারা কীভাবে অভিনয় করেন। শৈশব থেকে বাফার নাচ শিখি, পরে কারাতেতে ভর্তি হই, বই পড়ি।

অভিনয় সম্পর্কে নমনি বলে, ২০১২ সাল থেকে অভিনয় শুরু করি। ২০১৪ সালে একুশে টিভির ফ্যাশন শো থেকে বিজ্ঞাপনে ডাক পাই। প্রথম ‘বিকেল বেলার পাখি’ নাটকে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু বিজ্ঞাপন বেশি করেছি। মাশরাফি জুনিয়র নাটকের অডিশনের সময় মা বলেছিলেন, ‘অভিনয় করে দেখাবি।’ ভয়ে ভয়ে অভিনয় করে পরে জানতে পারি আমিই সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার দ্বিতীয় নাটক।

বর্তমানে ক্লাস সেভেনে পড়ছে নমনি। দুই ভাইয়ের এক বোন সে। সে বলে, সবাই চায়, আমি অভিনয়টাই করে যাই। পড়াশোনার জন্য আর নাটকে অভিনয় করতে পারছি না। আর এখন দর্শকদের একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। ভালো কাজের গল্প হলেই নাম লেখাব। আমি একটু বেছে বেছে কাজ করতে চাই। সংখ্যা বাড়াতে চাই না। সামনে নাটক ও সিনেমায় অভিনয়ের কথা চলছে। এগুলো এখনো চূড়ান্ত নয়।