মি: রাজ তুমি তো সত্যি সত্যি পরান কেড়ে নিয়েছো: চয়নিকা চৌধুরী

দীর্ঘদিন পরে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তিনটি সিনেমার কল্যাণে হলমুখী হয়েছে দর্শক। সংবাদের পাতা থেকে শুরু করে চায়ের কাপ সর্বত্র চলছে সিনেমাগুলোর সাফল্য আর ব্যর্থতার হিসেব। আর আলোচিত এই তিনটি সিনেমার মধ্যে একটি ‘পরান’। ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত এই সিনেমায় রাজ-মিমের অভিনয় সকলের দৃষ্টি কেড়েছে। সকলে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন এই দুই অভিনয়শিল্পীকে।

শুধুমাত্র দর্শকরাই নন প্রশংসাকারীদের তালিকায় রয়েছেন অনেক অভিনয়শিল্পী আর নির্মাতারাও। সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ হয়েছেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। নিজের ফেরিভাইড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন পরান সিনেমার কলা-কুশীলবদের।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘ভালোবাসার, সম্পর্কের সুস্থ গল্প আমাকে সব সময় টানে।
দেখে এলাম রায়হান রাফি এর পরাণ। আরো ২/৩ বার দেখবো।আপনার পরিশ্রমের ফল ইতিমধ্যেই আপনি পেয়ে গিয়েছেন।সবকিছুর জবাব মুখ দিয়ে দিতে হয় না।আপনার কাজই সময়ে কথা বলে দিয়েছে প্রিয় দর্শকের মাধ্যমে,ইতিমধ্যেই ১১শো বেড়ে গিয়েছে।আর কী চান?গল্প ভালো হলে এবং লোকেশন অভিনয় সব ঠিক থাকলে হলে মানুষ যাবেই।কারণ,তারা মানে এই প্রিয় দর্শক যথেষ্ট বুদ্ধিমান।’

রাজের ভূয়সী প্রশংসা করে চয়নিকা চৌধুরী লেখেন, ‘এই যে মিঃ শরীফুল ইসলাম রাজ,তোমার অভিনয় আমি আরো দেখেছি। কিন্ত তুমি তো সত্যি সত্যি পরাণ কেড়ে নিয়েছো! আমার শুধু না। বাংলাদেশের সব সিনেমা প্রেমী দর্শকদের।দারুণ তোমার অভিনয় আর বডি ল্যাংগুয়েজ। ভাবতেই ভালো লাগছে এত রিয়েলিষ্টিক অভিনয়!!!!
পুরষ্কার তোমার শতভাগ নিশ্চিত। আর দর্শক দের ভালোবাসা ভালোভাবেই তুমি পেয়েই গিয়েছ এই সময়েই।এটা ধরে রেখো কাজের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে।জানি তুমি পারবে।অভিনন্দন রাজ।তুমি ভাগ্যবান। ’

রাজের অভিনয়ের পাশাপাশি চয়নিকা চৌধুরী মুগ্ধ হয়েছেন মিমের অভিনয়েও। মিম প্রসঙ্গে লেখেন, ‘আর বিদ্যা সিনহা সাহা মিম তোমাকে কী বলবো। সত্যি এই সিনেমার অনন্যা মেয়েটাকে যদি আমি পেতাম! উহ! কী ভয়ংকর সুন্দর,মারাত্মক অভিনয়! এই প্রথম তোমার অভিনয় জীবনের, সেরা অভিনয়টাই দেখলাম আমি।আর তোমাকে এত সুন্দর আর সাবলীল লেগেছে!! তোমার অভিনয়টা কিন্তু সব্বার চেয়ে কঠিন ছিল।ভালোবাসার প্রেমিক এবং প্রতারক বা হিপোক্রেট।দারুণ।
অভিনন্দন তোমাদের দুজনকে আলাদা করে।প্রাউড বোথ অফ ইউ।
মীম জাতীয় পুরষ্কার কিন্তু পেয়েও যেতে পারো বিশ্বাস করো।’

শুধুমাত্র রাজ-মীম নয় চয়নিকা চৌধুরী প্রশংসা করেছেন অন্যান্য অভিনয়শিল্পীদেরও। এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘সিনেমার অন্যান্যরা সবাই যে যার মতই বেশ ভালো করেছেন।শহীদুজ্জামান সেলিম, শিল্পী সরকার অপু,মিলি বাশার,রোজী সিদ্দিকী এবং ইয়াশ রোহান বলার অপেক্ষা রাখেনা যে কী ভীষন তারা তাদের দক্ষতা তুলে ধরেছেন। প্রতিটি গান সুন্দর।এবং এডিটিং,ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক,ফটোগ্রাফি,লোকেশন সব সুন্দর ছিল। ভুলত্রুটি ধরতে আমি বসিনি।তার প্রয়োজন নেই বলেই আমি মনে করি। এক কথায় পরাণ মন কেড়েছে। অভিনন্দন পুরো টীমকে। এমন ছবি আরো অনেক দেখতে চাই। জয় হোক বাংলা চলচ্চিত্রের। ভালোবাসি বাংলা সিনেমা।’

প্রসঙ্গত, ত্রিকোণ প্রেমের গল্প নিয়ে রায়হান রাফির পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে পরান সিনেমাটি। সিনেমাটির মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরীফুল ইসলাম রাজ, বিদ্যা সিনহা সাহা মিম এবং ইয়াশ রোহান। ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে পরান সবচেয়ে কম সংখ্যক হলে মুক্তি পেলেও সর্বাধিক প্রশংসিত সিনেমার তালিকায় শুরুতেই রয়েছে পরান।