বিয়ের সপ্তাহ না পেরোতেই দায়ের কোপে প্রাণ গেলো নববধূর

বাংলা একাত্তর ডেস্কঃ বিয়ের সপ্তাহ না পেরোতেই মাদকাসক্ত প্রতিবেশি যুবকের দায়ের কো’পে প্রাণ গেলো দিতি (১৮) নামে সদ্য বিবাহিতা এক নববধূর। জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাতে শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় শোরগোল পড়ে গেছে।

প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানায়, ‘কালিনগর মহল্লার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে রহুল আমিন (২৫) মাদকাসক্ত। তারই প্রতিবেশি মুছা মিয়ার মেয়ে দিতির গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) উপজেলার চেল্লাখালী সন্যাসীভিটা এলাকায় খাইরুল নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর দিতিকে পিতার বাড়ি কালিনগর রেখে স্বামী খাইরুল পেশাগত কাজে কর্মস্থল ঢাকায় চলে যায়। বুধবার (২৯ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঘাতক রহুল আমিন তার ভাবি রাহেলাকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যায়।

এসময় রাহেলা দিতিকে দরজা খুলে দিতে বললে দিতি দরজা খুলে দেয়। সঙ্গে সঙ্গেই মাদকাসক্ত রহুল আমিন বটি দা নিয়ে দিতির মাথায় সজোরে কোপ দেয়। এতে দিতি চিৎকার দিয়ে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরুতে থাকলে তার মা মনোয়ারা চিৎকার করতে থাকেন। এসময় বাড়ির লোকজন দৌড়ে এলে রহুল আমিন পালিয়ে যায়।’

ঘটনার বিষয়ে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা আরও জানায়, স্বজনরা উদ্ধার করে দিতিকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ময়মনসিংহে নেয়ার পথে রাত সাড়ে দশটার দিকে নকলা এলাকায় দিতি মারা যান।

এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ঘটনার তদন্ত চলছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল আফরোজা নাজনীন ও ওসি বছির আহমেদ বাদল। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।

এর আগে জানা যায়, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে ঘাতক রহুল আমিনের ভাবি রাহেলাকে আটক করে রহুলকে খোঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে হত্যার কথা স্বীকার করে ধরা দেয়।