১০ বছর শরীরে ক্যান্সার নিয়েও মানুষকে বিনোদন দিয়ে গেছেন ‘ভাদাইমা’

বিনোদন: এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শরীরে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ নিয়ে মানুষকে বিনোদন দিয়ে গিয়েছে আহসান আলী ওরফে ভাদাইম্যা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন ভারতে, তবু শেষ রক্ষা হল না। প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিয়েছেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে। শুধু ক্যান্সার নয়, লিভারের পানিও জমে ছিল তার।

গতকাল রোববার (২২ মে) সকালের দিকে হঠাৎ করেই একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন আহসান আলী। টাঙ্গাইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এরপর সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে মারা যায় আহসান আলী।

এলাকাবাসী এবং পরিবার সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা দাইন্যা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামপাল গ্রামের মৃত বাবর আলীর চার ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে আহসান আলী ছিলেন পঞ্চম। বাবার কৃষি কাজকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ২০০০ সালের দিকে যোগ দেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। কৌতুক অভিনয়ে সাড়া ফেলেন পুরো টাঙ্গাইলে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের সর্বত্রই। বের করেন সহস্রাধিক ক্যাসেট। সবকটি ক্যাসেট ব্যাপক হিট হয়। সেই সময় থেকেই আহসান আলী নামের সঙ্গে যোগ ভাদাইম্যা। ডিজিটাল যুগে এসে ক্যাসেটের পরিবর্তে বছর তিনেক আগে খুলেন ইউটিউব চ্যানেল।

ব্যক্তি জীবনে আহসান আলী ভাদাইম্যা দু’টি বিয়ে করেন। তাদের ঘরে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে জন্ম নেয়। বড় ছেলে মোতালেব সৌদি আরব প্রবাসী। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন। মেজ ছেলে মজিবর রহমান বাবার গড়ে তোলা ইউটিউব চ্যানেল চালান আর ছোট ছেলে হৃদয় হাসান কোরআনে হাফেজ হয়েছেন।

আহসান আলীর মেজ ছেলে মজিবর রহমান বলেন, অভিনয়ের মাধ্যমে তার বাবা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন এবং তাকে সবাই ভালোবাসতেন। বাবার স্মৃতি ধরে রাখতে তার প্রতিষ্ঠিত ইউটিউব চ্যানেল চালিয়ে যাবেন তিনি। তার পিতার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।