চোখ রাঙালে ব্যবস্থা, ধমক দিলে ভাঙ্গায় ঢোকা বন্ধ করে দেবো: নিক্সন

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সাংসদ কাজী জাফর উল্লাহকে উদ্দেশ্য করে ফরিদপুর-৪ আসনের সাংসদ মুজিবর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, আমার কোনো নেতাকর্মীর দিকে যদি চোখ রাঙিয়ে কেউ তাকায় তাহলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।আজ শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন গেঁদু মিয়ার বাড়িতে যুবলীগের একটি অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

নিক্সন বলেন, শুনেন, বক্তব্যের কিছু নেই। আমি অফিস উদ্বোধন করতে আসছি। এই অফিসের জন্য আমাদের যে জায়গা দিয়েছে তাদের সাথে আমি আছি। আপনাদের যদি কেউ ধমক দেয় তাহলে আমি তাদের ভাঙ্গায় ঢোকা চিরতরে বন্ধ করে দিবো।

নিক্সন বলেন, রাইতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগের অফিস থেকে আমার ছবি নামাইছে। কাজী জাফর উল্লাহ ওই আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বইসা পাঁচটা চোর নিয়া মিটিং করছে। পরশুদিন জাফর উল্লাহ সাহেব আসছেন ভাঙ্গায়। সেদিন ফরিদপুর থেকে চল্লিশটা গাড়ি আনছে। সামনে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির মুলা ঝুলাইছে। ওই চল্লিশ জনরেই সে প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি বানাইবে। অথচ উনার নিজেরই ক্ষমতা নাই।

এ সময় জাফর উল্লাহর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার কী ক্ষমতা আমাদের দেখা হইয়া গেছে। আমাদের মাঠে নামাইয়েন না। আমাদের সামনে দাঁড়াইতে পারবে না।নিক্সন বলেন, আমি নেতাকর্মীদের কথা দিচ্ছি, আমি আসব। দিনের আলোতে আপনাদের নিয়ে আমি ওই অফিসে উঠব। আমি রাইতের আলোতে কাম করি না। এখন সবাই মাথা ঠান্ডা রাখবেন।

তিনি বলেন, আগামী নয় তারিখে আসতেছি আমি। আপনাদের নিয়া পার্টি অফিসে যাব। আমি দেখি সাহাদাতের ও ফাইজুরের যে বাপ আছে, যে পচা মাল আড়াই বছর পর ভাঙ্গায় আসছে- আমি দেখব সেই বাপের কত ক্ষমতা? আমরা দেখব ওই দিন ভাঙ্গার মানুষ কি ওই চোরদের ভালোবাসে কি না।

নিক্সন বলেন, করোনাকালে আড়াই বছর এই দেশের গরিব-দুঃখী মানুষ খাইতে পারে নাই। জাফর উল্লাহ সাহেব, আপনি আসেন নাই। এখন আসছেন পাঁচটা চোর নিয়া। আপনার মতো নির্লজ্জ বাংলাদেশে আর একটাও নাই। তিনি বলেন, জাফর উল্লাহ সাহেব নিজ মুখে বলছে দুই বছর পর ভাঙ্গায় আসছে। উনার জানের দাম অনেক বেশি, আমাগো জানের দামও কম না।

ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেনের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাহাদাতকে তিন মাস আমার বাসায় ঢুকতে দেইনি। ওই পচা মালও জাফর উল্লাহ নিছে। যেদিন আমি দেখছি সাহাদাত মদ খাইয়া মোবাইলে কথা বলছে, (আমি বুঝেছি) এরকম লোককে নিলে আমি দোজখ ছাড়া বেহেশত পাব না। আমি ওরে টোকাই থেকে চেয়ারম্যান বানাইছি, আমি আবার ওরে টোকাই বানাব।

নিক্সন বলেন, ভাঙ্গার সব থেকে পচা মাল হলো ফাইজুর। ফাইজুরের মতো মানুষকে আমি তিন নম্বরে সিরিয়ালে বসাইছি। এইসব পচা মাল লইয়া জাফর উল্লাহ দুই বছর পর আইছে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ওমর ফারুক হবি এবং স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য নেতারা।