গত ২৯ অক্টোবর ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে লালমনিরহাটে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রংপুর ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক গ্রন্থাগারিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র শহিদুন্নবী জুয়েলকে। এমনকি হত্যার পর পুড়িয়ে দেয়া হয় তার লাশও। আর এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকেই মনে করছেন প্রশাসন তৎপর হলে হয়তো এই নৃশংস ঘটনা ঘটতো না। হয়তো প্রাণে বেঁচে যেতেন জুয়েল।
প্রতক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় ঘটনার সময় ছিলো বৃহস্পতিবার বিকাল ৪.১৫ থেকে সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ মোট ১৮০ মিনিট জুড়ে চলে নারকীয় তান্ডব।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে বিকেল ৪.১৫ মিনিটে বুড়িমারী বাজার মসজিদ থেকে। অভিযোগ ওঠে কোরআন অবমাননা করেছেন জুয়েল। প্রাথমিকভাবে জুয়েলকে এবং তার সাথে থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী ইউনিয়ন পরিষদে। ঘটনাক্রমে ওইদিন বিকালে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল, বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ নিশাতও ছিলেন বুড়িমারীতেই। তাৎক্ষণিকভাবে তারাও ছুটে যান ইউনিয়ন পরিষদে। কিন্তু এর মাঝেই কোরআন অবমাননার কথা শুনে ইউনিয়ন পরিষদে জড়ো হন প্রায় পাঁচ থেকে ছ’শ মানুষ। এক পর্যায়ে তারা জুয়েলকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে আর এসময় প্রশাসন ছিলো অনেকটাই নিরব ভূমিকায়। এমনকি জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করার পর তার মরদেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে টেনে পরিষদ থেকে ৫শ’ গজ দূরে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়দের মতে, প্রশাসনের এক্ষেত্রে দায়িত্বে অবহেলা ছিলো। মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরেই ছিলো পাটগ্রাম থানা কিন্তু পুলিশ এরপরও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে দেরি করেছে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী থানাগুলোও ছিলো নিকটে এবং ছিলো বিজিবিও। সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে হয়তো এই ঘটনা ঘটতো না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুড়িমারীর এক বাসিন্দা বলেন, “ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহার সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ব্যবস্থা নিতে পারতেন। তিনি নির্দেশ দিলে প্রথমদিকে ফায়ার সার্ভিস পানি ছিটিয়ে, টিয়ার শেল ও পুলিশের ধাওয়া দিলে হয়তো ছত্রভঙ্গ হতো মানুষ। আর এই নরহত্যা থেকে বেঁচে যেতো জুয়েল।”
উপজেলা প্রশাসনের কর্ণধাররা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার পরেও এই নরহত্যা হওয়ায় বাকি মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি। আর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল বলেন, সঠিক সময়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হয়তো এতো কিছু হতো না।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানা অফিসার ইনচার্জ সুমন মোহান্ত বলেন, তারা সংবাদ ই পেয়েছেন অনেক দেরিতে। তাই ঘটনাস্থল পৌঁছাতেও দেরি হয়েছে। আর জেলায় কোনো জলকামান নেই। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে তারা ১৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছিলেন।
এদিকে, এ ঘটনায় সোমবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে গ্রেপ্তারকৃতদের বিকালে আদালতে তোলা হতে পারে। এর আগে রোববার রাতে আরো ৫ আসামিকে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রফিক ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম বায়েজিদ, মাসু, আলী, শফিকুল ইসলাম। এ নিয়ে মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। আজ মঙ্গলবার আসামিদের রিমান্ড শুনানি হবে। লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা জানান, রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ঢাকাই সিনেমার প্রবাদপ্রতিমা অভিনেত্রী পারভীন সুলতানা দিতির মেয়ে লামিয়া চৌধুরী চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে তার মায়ের…
নেটফ্লিক্সে আজ মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত প্রথম হিন্দি ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’। এ…
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। কয়েক দিন আগে জানা গিয়েছিল,…
ক’দিন আগেই চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ সেরেছেন নায়িকা পরীমণি। এখন পুত্র রাজ্যকে ঘিরেই…
মা হওয়ার সুবাদে দুই বছর কাজ থেকে দূরে ছিলেন। সেই বিরতি কাটিয়ে কাজে নিয়মিত হচ্ছেন।…
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে…