কে এই পিয়াসা?

সম্প্রতি মডেল হিসেবে পরিচিত ফরিয়া মাহবুব পিয়াসা নামের এক নারীর বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে মদ এবং ইয়াবাসহ বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য। তবে এবারেই প্রথম নয়। অপরাধজনিত কারণে এর আগেও একাধিকবার আলোচনায় এসেছেন এই অভিনেত্রী।

ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা মূলত একজন উঠতি মডেল। তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে। তবে একজন মডেল হলেও পিয়াসার তেমন কোনো কর্মকাণ্ড শোবিজ পাড়ায় দেখা মেলেনি। পিয়াসা মূলত সর্বপ্রতম আলোচনায় এসেছিলেন ২০১৭ সালে। উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন করায় সে বছর তাকে তালাক দেন দেশের প্রথম সারির জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত হোসেন। এ নিয়ে সামাজিক মহলে আলোচিত হন তিনি।

এরপরে তিনি আবারও খবরের শিরোনাম হন ২০১৯ সালে। সে বছর দিলদার আহমেদ সেলিম তার সাবেক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেছিলেন। মামলার পর ঢাকার মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান পিয়াসা। মামলাটি জামিনযোগ্য হওয়ায় তাকে জামিন দেন আদালত।

মামলায় দিলদার আহমেদ সেলিম অভিযোগ করেছেন, পিয়াসা দিলদারপুত্র সাফাতকে ফাঁদে ফেলে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তারা জানতে পারেন যে পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। তাই ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন সাফাত। এরপর রাজধানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পিয়াসার স্বামী সাফাত জড়িত ছিলেন। তখন আবার ঘুরে ফিরে পিয়াসার নামটি আলোচিত হয় সামাজিক মহলে।

সর্বশেষ কয়েক মাস আগে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামে এক তরুণীর মরদেহ। এই ঘটনায় ফের আলোচনায় আসে পিয়াসার নাম। এই ঘটনায় তরুণীর বোন নুসরাত জাহানের করা মামলার এজাহারে উঠে এসেছে পিয়াসার নাম। আর এঔ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার আলোচনায় পিয়াসা।।

রোববার (১ আগস্ট) রাতে বিপুল পরিমাণ মদ, ইয়াবা ও সিসাসহ মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। রাজধানীর বারিধারার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিলেন পিয়াসা।