থানায় কি’শোরীর আ’কুতি, ‘স্যার আমাকে ছে’ড়ে দিন, এমন ভু’ল আর করব না’

এক হাজার টাকার বিনিময়ে এক খালার দেয়া একটি পুটলি পৌছে দিতে ঢাকায় যাচ্ছিলো ১৭ বয়সী রিমা। কিন্তু এই পুটলিটিই কান্নার কারণ হয়ে দাঁড়ালো রিমার জন্য। দুই কেজি গাঁ’জাসহ র‍্যা’বের হাতে রোববার বিকালে আ’টক হয়েছে এই কি’শোরী।

আর আটকের পর মুক্তির জন্য রিমা আকুতি জানান ভৈরব থানার পুলিশদের নিকট। কা’ন্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, “আমার ভুলের জন্য আজ আমি আ’টক হলাম। জীবনে কখনও আর এমন ভুল করব না, স্যার আমাকে ছে’ড়ে দিন। আমার মান-সম্মান সবই চলে যাবে।”

জানা গেছে, রিমার বাবার নাম সাগর বাদশা। তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আখাউড়া এলাকায়। রোববার বিকালে স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ভৈরব র‍্যা’ব ক্যা’ম্পের স’দস্যরা দুই কেজি গাঁ’জাসহ তাকে আ’টক করে। পরে রাতে তাকে মা’দক বহনের দায়ে র‍্যা’ব বাদী হয়ে মা’মলা দিয়ে থানা পু’লিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

রিমা দাবি করেন, তিনি জানতেন না পুটলায় গাঁ’জা আছে। তিনি ঢাকা যাবেন একথা শুনে তার এক খালা পুটলাটি ঢাকা কমলাপুর পৌঁছে দিতে অনুরোধ করেন। একটি মোবাইল নাম্বারও আর যাতায়ত খরচ বাবদ এক হাজার টাকাও দেন তাকে।

কথা ছিলো কমলাপুর পৌঁছে ওই মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে কোনো এক ব্যক্তি আসলে পুটলাটি দিয়ে দিয়ে দিবেন। কিন্তু ভৈরব আসার পর র‍্যা’ব গাড়ি তল্লাশি করে পুটলার ভেতর গাঁ’জা পেয়ে তাকে আ’টক করে।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার এসআই নিপুন যুগান্তরকে বলেন, কি’শোরী বয়সে রিমা মা’দক ব্যবসায় জ’ড়িয়ে পড়েছে। তার কথা কতটা সত্য বা বাস্তব- তা পুলিশ তো জানে না। আর জানলেও আইনে মানবতার কোনো মূল্য নেই।