ক্ষমতা হারাচ্ছেন নেতানিয়াহু

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগণের উপর টানা এগারোদিন বোমা হামলা চালানোর প্রধান পরীকল্পনাকারী ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের দাবি মূলত ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতেই ফিলিস্তিনের সাথে যুদ্ধে জড়িয়েছিলেন তিনি।

তবে এরপরও শেষরক্ষা হয়নি নেতানিয়াহুর। ইতমধ্যে বিরোধী দলগুলো ইসরায়েলের  বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হটিয়ে নতুন সরকার গঠনে জোট করতে সম্মত হয়েছে। সরকার গঠনের শেষসময় ছিল বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত। তার কিছুক্ষণ আগে সরকার গঠনের ব্যাপারে একমত হয় বিরোধীরা।

রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও’র বরাত দিয়ে এমন খবর ছেপেছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই জোট সরকারের অন্যতম একটি বিশেষত্ব হচ্ছে, ইসরায়েলের ইতিহাসে এই প্রথমবার সরকারে অংশগ্রহণ করছে আরব সংখ্যালঘুদের একটি দল। ওই দলটি ইসরায়েলের ২১ শতাংশ সংখ্যালঘু আরবের প্রতিনিধিত্ব করছে।

এছাড়া, এই জোটে ছোট-বড় বেশ কয়েকটি দল রয়েছে এবং এই সরকারের মেয়াদকালে লাপিদ ও বেনেট দুজনই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। সেক্ষেত্রে বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হবেন বেনেট। বেনেটের মেয়াদ শেষে প্রধানমন্ত্রী হবেন লাপিদ।

প্রসংগত, দীর্ঘ ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ হারাচ্ছেন নেতানিয়াহু। এর আগে, গত ২৩ মার্চ ইসরায়েলে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে অল্প ব্যবধানে জয় পান নেতানিয়াহু। কিন্তু সরকার গঠনে তিনি পর্যাপ্ত আসন পাননি এবং বিরোধীদের সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।