লকডাউনে অসহ্য লাগছে সঙ্গীকে, জানুন রোমান্টিক হওয়ার সহজ উপায়

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সাল থেকেই অনেক প্রতিষ্ঠানই ব্যবস্থা করেছে হোম অফিসের। অধিক সময় বাড়িতে থাকার কারণে সঙ্গীর সাথেও পূর্বের তুলনায় অধিক সময় ব্য্য় করা হচ্ছে। এর ফলে অনেক সম্পর্কেই সঙ্গীর সাথে টানপোড়ন তৈরি হয়েছে। এমনকি কারো কারো নিজের সঙ্গীকে রীতিমতো অসহ্য লাগতে শুরু করেছে। তবে কিছু কাজের মাধ্যমে সহজেই সম্পর্কের টানপোড়ন দূর করা যায়। আর আজকের আয়োজনে থাকছে রোমান্টিকতা বৃদ্ধির এমনই কিছু উপায়।

একসঙ্গে নতুন কিছু করা :  কাজের মাঝে পাওয়া অবসর সময়ে দু’জন আলাদা না থেকে একসঙ্গে নতুন কিছু করার পরিকল্পনা করুন। হতে পারে সঙ্গীকে রান্নায় সহযোগিতা করা, দু’জনে গল্প করা, অনলাইনে কোনো কিছু শেখা, বাগানের যত্ন নেয়া ও বাসা-বাড়ির দেয়াল একসঙ্গে সাজিয়ে তোলা। এতে দু’জনের মধ্যেই ভালো লাগা তৈরি হবে এবং সম্পর্কের বিরক্তি দূর হবে।

একান্তে সময় কাটানো : অনেক সময় ই দেখা যায়  সারাদিন একসঙ্গে থাকার পরও  দু’জনের একান্তে সময় কাটানো হচ্ছে না। তাই কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ই কিছু সময় বের করে দু’জন একান্তে কিছুক্ষণ সময় কাটান। দু’জন একসঙ্গে চা বা কফি খাওয়া, হাতে হাত রেখে হাঁটা কিংবা বাসা-বাড়ির বাইরে একটু ঘুরে আসা। এতে পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা বাড়বে।

সারপ্রাইজ দেয়া : সারপ্রাইজ পেতে সকলেই পছন্দ করে। নতুন সম্পর্কগুলোতেও শুরুর দিকে একজন আরেকজনকে সারপ্রাইজ দেয় বলেই সম্পর্ক সুন্দর থাকে। কিন্তু সম্পর্ক পুরাতন হওয়ার সাথে সাথে এই বিষয়গুলো হারিয়ে যায়। তাই মাঝে মধ্যেই ক্যান্ডেলনাইট ডিনার, আয়নার সামনে ‘চিরকুটে’ প্রেমের বার্তাসহ অন্যান্য পছন্দের কাজ করে চমকে দিন সঙ্গীকে।

ডেট করা : সম্পর্ক পুরাতন হওয়ার সাথে সাথে সঙ্গীকে আগের মতো সময় দেয়া হয় না। করা হয় না নিয়মিত ডেটও। তাই সম্পর্কে রোমান্টিকিতা ফিরিয়ে আনতে দেট করুন। ডেট করা মানে এই নয় বাসা-বাড়ির বাইরে যেতে হবে। বারান্দা বা ছাদও হয়ে উঠতে পারে এই রোমাঞ্চের জায়গা। মোমবাতির হালকা আলোয় একজন অপরজনকে ঝাপটে ধরুন। কপালে চুমু দিন। এতে মনের সকল ক্ষোভ দূর হয়ে যাবে।