স্ত্রীকে হত্যায় তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন বাবুল

প্রায় ৫ বছর পর অবশেষে বেরিয়ে এলো সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার প্রকৃত রহস্য। পুলিশের অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাবুল আকতার নিজেই তার স্ত্রীর হত্যার প্রধান পরিকল্পনাকারী। আর এই হত্যাকাণ্ড সফল করতে তিনি আসামিদের দিয়েছিলেন তিন লাখ টাকা। ইতোমধ্যে বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন দুই সাক্ষী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার চাকমা বুধবার (১২ মে) বলেন, বাবুল আকতার স্ত্রীকে হত্যা করার তিন দিন পর তার ব্যবসায়িক অংশীদার সাইফুল হককে বলেন, তার লাভের অংশ থেকে তাকে যেন তিন লাখ টাকা দেওয়া হয়। বাবুল এই টাকা সাইফুলের কাছে থেকে নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে গাজী আল মামুনকে পাঠান এবং গাজী আল মামুন ওই টাকা মুসা, ওয়াসিমসহ আসামিদের ভাগ করে দেন। তবে কাকে কত টাকা দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সন্তোষ কুমার চাকমা আরও বলেন, ঘটনার পরপর বাবুল আকতার দাবি করেছিলেন, তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের সাথে জঙ্গিরা জড়িত। কিন্তু মিতু হত্যার মামলার ভিডিও ফুটেজে বাবুল আক্তারের সোর্স এহতেশামুল হক ভোলা, কামরুল শিকদার ওরফে মূছা ছিলেন। আর বাবুল আকতার তার সোর্সকে চিনলেও বিষয়টি চেপে যান।

এদিকে পিবিআইএর প্রধান ও পুলিশের উপমহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার বুধবার (১২ মে) সকালে ঢাকার পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাবুলের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাবুল আকতারকে নতুন এ মামলায় আজ বুধবার (১২ মে) গ্রেপ্তার দেখানো হবে।