চুক্তিতে শা’রীরিক স’ম্পর্ক, ফিরলেন কা’র্টনব’ন্দী লা”শ হয়ে

অ’ভাবের সং’সারে একটু ভালোভাবে বাঁ’চার জন্য জর্ডান যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন খাদিজা (ছদ্মনাম)। কিন্তু যাওয়ার রাস্তাটা সহজ ছিলো না। জর্ডান যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিলো মোটা অঙ্কের টাকা। আর সেই টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে হতে হলো কা’র্টনব’ন্দি লা”শ।

ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মিরপুরে। ১ এপ্রিল ভোরে রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা ডেন্টাল কলেজের জরুরি গেটের সামনে থেকে কা’র্টনব’ন্দি এক না’রীর ম’রদে’হ উ’দ্ধা’র করে পু’লিশ। পরবর্তীতে কার্টনের গায়ে থাকা মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে শ’নাক্ত হয় খু”নি। খুলেছে র’হস্যের জ’ট।

পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নি’হ’ত খাদিজা পেশায় প’তি’তা আর হ’’০ত্যাকারী একজন ডেলিভারি বয়। পুলিশের হাতে আসা একটি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় কাজীপাড়ায় একটি প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন রিপন নামের এক ব্যক্তি। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানেই চাকরি করেন। রিপনের পেছন পেছন প্রবেশ করেন এক না’রী। ঘণ্টা দুয়েক পর বাড়িটি থেকে বের হয়ে যান রিপন এবং কিছু সময় পর একটা রিকশা নিয়ে আবারো গেটের কাছে আসেন তিনি। এরপর বাড়িতে প্রবেশ করে একটি বড় কার্টন নিয়ে বের হয়ে রিকশাযোগে চলে যান।

পরবর্তীতে ১ এপ্রিল কার্টনব’ন্দী ম’রদে’হ উ’দ্ধার করে ভাসানটেক থানা পুলিশ এবং আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ওই না’রীর পরিচয় শ’নাক্ত করে। এ ঘটনায় একটি হ’০’ত্যা মা’ম’লা হয়।

হ’’০ত্যাকান্ডের অনুসন্ধানে গিয়ে যে কার্টন থেকে ম’রদে’হ উ’দ্ধার করা হয় তার গা’য়ে থাকা একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আ’ট’ক করা হয় ফিরোজ আল আনাম নামের ওই ব্য’ক্তিকে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আ’ট’ক করা হয় রিপনকে। জি’জ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ওই না’রীকে খু’০ন করার কথা স্বীকার করেন রিপন।

রিপন জানায়, সে রাতে পাঁচশো টাকা চুক্তিতে ঘা’ত’ক রিপনের সঙ্গে তার অফিসে গিয়েছিলেন ওই না’রী। কিন্তু পরবর্তীতে দা’বি করেন দেড় লাখ টাকা। এ নিয়ে বা’কবি’তণ্ডার এক পর্যায়ে রিপন গ”লাটি’পে হ’’০ত্যা করেন ওই না’রীকে।

এ বি’ষয়ে ডিএমপি মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ ক’মিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, এটা প’রিকল্পিত হ’০’ত্যা না। ওই মে’য়েটাকে কন্ট্রাক্টে শা’রী’রিক স’ম্পর্কের জন্য নেওয়া হয়। তারপর তাদের মধ্যে টাকা নিয়ে ত’র্কাত’র্কি হলে পর্যায়ে মে’য়েটিকে গ”লা টি”পে হ’’০ত্যা করা হয়।