তামিমার ৮ বছরের কন্যা বাবার কাছে জিজ্ঞেস করে, ‘মা এগুলো কি করছে বাবা?’ বাবা কোন উত্তর দিতে পারে না। ছোট্ট মেয়ে কান্না করে।
তামিমার লেখাপড়া ও শ্বাশুরিসহ দুই শ্যালকের সব খরচ দিতো রাকিব। অমানুষিক পরিশ্রম করে আগলে রেখেছিলো ভালোবাসাকে। কিন্তু সেই ভালোবাসা উড়াল দিলো।অথচ রাকিবকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলো তামিমা। অর্থের লোভ, উচ্চবিলাসী জীবন উপভোগের মোহে লন্ডভন্ড হলো একটি সাজানো সংসার।
বিয়ে করেও এবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকে’টে অন্যতম ‘ব্যাড বয়’ নাসির হোসেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এবার নাসির সব বি’তর্কি’ত কাজ ছেড়ে থিতু হবেন। কিন্তু এই বিয়ে নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন স’মস্যা। নাসিরের স্ত্রী তামিমা তাম্মির এর আগে বিয়ে হয়েছিল। সেই স্বামীকে ডি’ভোর্স না দিয়েই তিনি নাসিরকে বিয়ে করেছেন! তামিমার সেই সংসারে ৯ বছরের একটি মেয়েও আছে। বি’ষয়টি নিয়ে তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসানের সঙ্গে কথা বলেছে কালের কণ্ঠ। রাকিব হাসান জানিয়েছেন তাদের বিয়ে এবং সংসারের গল্প।
রাকিব শুরু করেন এভাবে, ‘প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। সে আসলে আমাকে চা’প দিয়েই বিয়ে করেছিল। বলেছিল, তুমি বিয়ে কর নাহলে আমার আম্মা বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। প্রথমে আমরা টাঙ্গাইলে কোর্ট ম্যারেজ করেছিলাম। পরে আমরা বিয়ে করি বরিশালে। আমার বউকেই দুইবার বিয়ে করেছি। এরপর সংসার শুরু করি। সংসার শুরুর পর যখন সে এসএসসি পাস করে আমার কাছে আসল, দেখলাম তার রেজাল্ট ভালো। তখন আব্বা-আম্মা বলছিল, বউকে বেশি পড়ানোর দরকার নাই। বেশি পড়াইলে বউ উড়াল দিয়ে চলে যাবে। আমি আব্বু-আম্মুর সঙ্গে ঝ’গড়া করলাম। শেষ পর্যন্ত তাদের কথাই সত্য হলো।’
কন্যার জন্মের ঘটনা উল্লেখ করে রাকিব বলেন, ‘আব্বা আমাকে বলছিল, তুমি যদি তাকে পড়াতে চাও তাহলে ঢাকা নিয়ে যাও। আমি তাকে ঢাকায় নিয়ে আসলাম। একটা শো রুমে ম্যানেজারের চাকরি নিলাম। সাবলেট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে লাগ’লাম। তাকে কুমুদিনীতে ভর্তি করলাম। সপ্তাহে একদিন ছুটি পেতাম। তাকে নিয়ে যেতাম কিংবা নিয়ে আসতাম। এর মাঝেই ও কনসিভ করে। তখন তার মা (রাকিবের শাশুড়ি) তাকে বুদ্ধি দিল, এখন বাচ্চা নিলে তো সংসার শেষ। তখন তারা (তামিমার পরিবার) তাকে নিয়ে গিয়ে এবরশন করল। এরপর সে যখন দ্বিতীয়বার কনসিভ করল, তখনও তার পরিবার এবরশন করতে বলেছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে, সেই মেয়েটা পৃথিবীতে এসেছে। এখন সে ৯ বছরের।’
এরপর সে (তামিমা) একটা চাকরি নিল। তখন আমরা উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে একটি বড় বাসা নেই। কয়েক মাস পর সে বাসা ভাড়া নিয়ে রাগারাগি করে চাকরি ছেড়ে দিল। তখন আবারও ১৪ নম্বর সেক্টরে আমার সাধ্যের মধ্যে একটা বাসা নিলাম। তখন সে বলল, আমার স্বপ্ন এয়ার হোস্টেজ হব; তুমি আমাকে হেল্প কর। তখন আমি বললাম, স’মস্যা নাই। সে বলে, ‘তুমি তো আমাকে বিশ্বাস কর?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ’। তখন সে সৌদি এয়ারলাইন্সে চাকরির আবেদন করল। আমি তাকে প্রস্তুতির জন্য দুই-তিন লাখ টাকা খুব ক’ষ্ট করে ম্যানেজ করে দিলাম। তাছাড়া সবরকমের হেল্প করলাম।’
‘চাকরি হওয়ার পর কোনো মাসে ২০ হাজার আমাকে দিত, কোনোমাসে দিত না। আমাদের পরিবারের খরচই ছিল ৫০ হাজার টাকা। আমাকে টাকা দেওয়া তার মায়ের পছন্দ ছিল না। তখন তিনি আমাদের ওখানেই থাকতেন। বাচ্চা হওয়ার কারণে দেখাশোনার জন্য দুই শালা এবং শাশুড়িকে নিয়ে এসেছিলাম। তিনি বলতেন, আমার মেয়ে আমাকে টাকা দিবে, তার হাজবেন্ডকে কেন? তখন আমি বললাম, আচ্ছা তুমি তোমার মাকেই সব টাকা দিও। তিনিই সংসার চালাবেন। এভাবেই আমার শাশুড়ি বাড়ির কর্তা হয়ে উঠল।’
সংসারে শাশুড়ির ভূমিকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা পর্যায়ে আমার শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে বুদ্ধি দেওয়া শুরু করল যে, তুমি এখন এয়ার হোস্টেজ; আর তোমার স্বামী একটা শো রুমের ম্যানেজার। তোমাদের স্ট্যাটাস তো মিলে না। এভাবেই আস্তে আস্তে তামিমা দুইদিক ঠিক রাখতে লাগল। তার একটা বয়ফ্রেন্ডও ছিল; নাম অলক। আমি বি’ষয়টা জানতে পেরে তাকে সাবধান করি। এরপর সে আমার কাছে মাফ চেয়ে বলে, ওর সাথে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। এমন আর হবে না। আমিও মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে মাফ করে দেই।
‘এরপর থেকে তার মা আমাকে সহ্য করতে পারছিল না। আমি উপায় না দেখে মেয়েকে তার কাছে রেখেই আলাদা বাসা নিলাম। সকাল-সন্ধ্যা মেয়েকে গিয়ে দেখে আসতাম। ও চাকরি থেকে আসলে ওর মায়ের বাসায় উঠত। আমার বাসাতেও আসত। আমরা হোটেলে মিট করতাম, রেস্টুরেন্টে খেতাম, আমার ভাইয়ের বাসায় যাইতাম। আমার বাসায় এসে থাকত আমার সাথে। লকডাউনের আগে সে ১৫ দিনের ছুটিতে দেশে আসল। তখন তার মা তাকে বের হতে দিত না। মেয়েটা ফোন করলে বলত, ব্যস্ত। আমার বা তার মেয়ের প্রতি তার কোনো ফিলিংস ছিল না।’
‘এভাবেই চলছিল। এক পর্যায়ে ১৪ তারিখ দেখি তার একটা বিয়ের ভিডিও ক্লিপ। সে কবে দেশে আসছে তাও জানি না। আমি তো ভিডিও দেখে অবাক! এটা নিয়ে আমি ১৬ তারিখে একটা জি’ডি করলাম। জি’ডি করার পরে এইটা সবাই জানতে পারল। তখন আমার ভাইকে নিয়ে একজন সাংবাদিক আমার শাশুড়ির বাসায় গিয়েছিল। তখন তিনি বলেন, ‘রাকিব কে? আমি কোনো রাকিবকে চিনি না।’ সাংবাদিক ছবি দেখানোর পর তিনি নাসিরকে কল করেন। এরপর নাসির আমাকে ফোন করে। সেই অডিও ক্লিপ আমি মিডিয়ায় দিয়েছি।’
সবশেষে রাকিব কা’ন্নাজ’ড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘একজনের বউ কীভাবে অন্যজনে বিয়ে করে? আমি আসলে ক্লিয়ারেন্স চাই। সে সাংবাদিকের কাছে বলছে যে আমাকে ডি’ভোর্স দিছে, কিন্তু ডি’ভোর্সের কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। তার দাবি, সে ডি’ভোর্স লেটার পোস্ট করছে। কিন্তু সেই চিঠি আমি বা আমার ফ্যামিলির কেউ পায় নাই। সে (তামিমা) আমার কাছে এসে বলত, যে সে অন্য কাউকে বিয়ে করতে চায়। কিংবা নাসির এসেই আমাকে বলত যে তারা বিয়ে করতে চায়। আমার থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বিয়ে করত। আমি আপত্তি করতাম না। কারণ জো’র করে ভালোবাসা হয় না।মেয়েটা ভিডিও দেখে কা’ন্না করছে। সে তার মাকে খুঁজতেছে।’ ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
নেটফ্লিক্সে আজ মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত প্রথম হিন্দি ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’। এ…
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। কয়েক দিন আগে জানা গিয়েছিল,…
ক’দিন আগেই চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ সেরেছেন নায়িকা পরীমণি। এখন পুত্র রাজ্যকে ঘিরেই…
মা হওয়ার সুবাদে দুই বছর কাজ থেকে দূরে ছিলেন। সেই বিরতি কাটিয়ে কাজে নিয়মিত হচ্ছেন।…
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে…
মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে তারকাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ’ (সিসিএল)। সেখানে শুক্রবার (২৯…