সারা রাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি: চঞ্চল চৌধুরীর

রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বাবা গোবিন্দ চৌধুরী। ফেসবুকে একটি পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি।

গতকাল ২৮ ডিসেম্বর নিজগ্রাম কামারহাটের পদ্মাপাড়েই তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। আজ ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার চঞ্চল চৌধুরী তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে বাবার স্মৃতিচারণ করে একটি পোস্ট দেন। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তোএ ধরা হলঃ

২৭ ডিসেম্বর রাতে, বাবা আমাদের সকলের মায়া মমতা ত্যাগ করে, ইহলোক ত্যাগ করে চলে গেল পরলোকে। গতকাল নিজগ্রাম কামারহাটের পদ্মাপাড়েই তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাবা মিশে গেলো এই গ্রামেরই আলো বাতাসে,পদ্মার জলে।

সন্ধ্যায় ধর্মীয় আচার শেষে যখন নদীর পাড় থেকে বাড়ি ফিরলাম, তখন ভুলেই গেছিলাম যে, বাবাকেই তো নদীর পাড়ে রেখে এসেছি। সারা রাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সারা বাড়ি ময়, ঘর ময় যেন বাবা গুটি গুটি পায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে।

এই বুঝি কখন আমায় ডাক দিয়ে বলবে,”চঞ্চল…বাবা ঘুমাইছো??” বাবার কোন কথা আর কোন দিন কানে বাঁজবে না,বাবাকে দেখতে পাবো না,এগুলো কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। যখন এই কথা গুলো লিখছি,শীতের এই সকালে,বাবার শাল টাই আমার শরীরে জড়ানো।

যে জায়গায় রোদে বসে আছি, এ জায়গায় বসেই বাবা রোদ পোহাতো। রোদের উষ্ণতা নয়…. বাবার শরীরের কোমল উষ্ণতা খুঁজে ফিরছি এখন, বাকী জীবনটা হয়তো এভাবেই খুঁজতে হবে।

বাবার প্রয়াণে যে সকল সুহৃদ আমাদেরকে নানান ভাবে সমবেদনা জানিয়েছেন, শেষকৃত্য অনুষ্ঠান পর্যন্ত আমাদের পাশে ছিলেন, তাঁদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা।

উল্লেখ্য, অসুস্থ হয়ে চঞ্চলের বাবা আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৫ ডিসেম্বর চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছিলেন- আমার বাবা প্রচন্ড অসুস্থ। আজ ১৩ দিন বাবা আইসিইউ’তে লাইফ সাপোর্টে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।