তানিয়ার ২৩ বছরের সংসার শেষ, দুই মাসও টিকলো না টুটুলের ২য় বিয়ে

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদ ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত তারকা এস আই টুটুল দম্পতির কথা সবার মুখে মুখেই ছিলো। দুই দশক আগে তারা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তবে সম্প্রতি তানিয়াকে ডিভোর্স দিয়ে ফের বিয়ে করেন গায়ক ও সংগীত পরিচালক এস আই টুটুল।

গত ৪ জুলাই এসআই টুটুল বিয়ে করেন আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাসরত টেলিভিশন উপস্থাপিকা শারমিনা সিরাজ সোনিয়াকে। তবে জানা গেছে, টুটুল রেজিস্ট্রি ছাড়াই বাসায় হুজুর ডেকে এনে সোনিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন একসঙ্গে থাকলেও হঠাৎ করেই সোনিয়াকে রেখে নিউইয়র্ক ছেড়ে আমেরিকার ফ্লোরিডাতে চুপিচুপি বসবাস করছেন এই গায়ক।

আরো জানা গেছে, বিয়ের পর টুটুল তার স্ত্রী সোনিয়ার কাছে ব্যবসার কথা বলে টাকার জন্য তাকে বারবার চাপ দেন। এতে সোনিয়ার মনে সন্দেহ দানা বাঁধায় টাকা দিতে রাজি হননি। পরে টুটুল তাকে কিছু না বলেই ১ আগস্ট বাসা থেকে উধাও হয়ে যায়। এখন দুজনের মধ্যে যোগাযোগও নেই।

রেজিস্ট্রি ছাড়াই বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছন টুটুলের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া নিজেও। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করিনি। বাসায় হুজুর ডেকে এনে দুজন দুজনকে বিয়ে করেছি।’

রেজিস্ট্রি ছাড়া বিয়ে করার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমেরিকাতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করতে হলে অনেক নিয়ম-কানুন মানতে হয়। টুটুলের আগের স্ত্রীকে নাকি ডিভোর্স সংক্রান্ত কি ঝামেলা আছে এখনো। এছাড়া, আরও কিছু জটিলতা থাকায় টুটুল রেজিস্ট্রি করেনি।’

বর্তমানে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টুটুল আর আমি একসঙ্গে থাকছি না। টুটুল কিছু করতে চায়। পরিবারের জন্য টাকা পয়সা রোজগার করবে, তাই মনে হয় সে ফ্লোরিডাতে থাকছে। টুটুল আমাকে বাংলাদেশেও নিয়ে যেতে চেয়েছে। ফ্লোরিডাও থাকতে বলেছে। কিন্তু আমিতো নিউইয়র্কে ভালো চাকরি করছি। এখানে আমার প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার। আমার ছেলে রয়েছে। আমি চাইলেই তো কোথাও যেতে পারি না। টুটুলের গ্রিনকার্ড এখনো হয়নি। আবার ওর ছেলেকেও বাংলাদেশ থেকে এখানে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।’

দুজনে আলাদা থাকার বিষয়ে সোনিয়া বলেন, ‘টুটুল আগে থেকে ফ্লোরিডাতেই থাকতো। মাঝে মাঝে নিউইয়র্কে বেড়াতে আসতো। রেজিস্ট্রি বিয়ের আগে আমরা একসঙ্গে থাকব না। কারণ, আমাদের পরিবার আছে। এখানে আরও অনেক ব্যাপার আছে।’

এক সূত্র জানিয়েছে, ‘আমেরিকায় লিগ্যালি বিয়ে করতে হলে অবশ্যই কোর্টে গিয়ে ম্যারিজ রেজিস্ট্রি করতে হয়। কোর্টে রেজিস্ট্রি ছাড়া বাসায় হুজুর ডেকে আনলেও হুজুর ম্যারিজ সার্টিফিকেট ছাড়া বিয়ে পড়ায় না। এটা এখন নিয়ম করেছে আমেরিকায়। আগে কিন্তু হুজুর ডেকেও বিয়ে করা যেত। এখন এটা সম্ভব নয়।’

টুটুলের গ্রিনকার্ডের আবেদনে এখনো আগের স্ত্রী তানিয়ার নামই দেওয়া আছে বলে জানা গেছে। সেখানে ডিভোর্সের কোনো কাগজ জমা দেয়নি টুটুল। তাই আমেরিকায় এখনো টুটুল ও তানিয়া লিগ্যালি স্বামী-স্ত্রী। লিগ্যালি টুটুল ও সোনিয়া এখনো স্বামী-স্ত্রী নয়। তবে এ বিষয়ে এসআই টুটুলের কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।