বর্ষাকে ডিভোর্স দিতে চেয়েছিলেন অনন্ত, চলচ্চিত্রের জন্যই সিদ্ধান্ত বদল

বর্তমানে মিডিয়া জগতের আলোচিত ব্যক্তিত্ব অনন্ত জলিল এবং আফিয়া নুসরাত বর্ষা। বিগত ১২ বছর যাবত সিনেমায় জুটি হিসেবে অভিনয় করা এই দুই অভিনয়শিল্পী বাস্তব জীবনেও স্বামী-স্ত্রী। আগামী অক্টোবরেই দাম্পত্য জীবনের ১১ বছর পূর্ণ করবেন তারা। তাদের ধরা হয় চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সুখী তারকা হিসেবে।

তবে তাদের দাম্পত্য জীবনের পুরোটা সময়ই এমন ছিলো না। এমনকি ২০১৩ সালে বর্ষাকে ডিভোর্স দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন অনন্ত জলিল। দুজন দুজনের বিরুদ্ধে করেছিলেন থানায় জিডিও।

ওইসময়ে অনন্ত জলিল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, “বর্ষা ও আমার মাঝে বোঝাপড়া না হওয়ায়, আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা যে কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই কাজী অফিসে গিয়েই সমঝোতার ভিত্তিতে আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে।”

অনন্তের অভিযোগ ছিলো অন্যদের সঙ্গে বর্ষার যোগাযোগের কারণেই বর্ষার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘বর্ষা বাইরের ছবিতে অভিনয় করতে চাইলেও এ ব্যাপারে সে আমার সঙ্গে আগে কোনো আলোচনা করেনি। অথচ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম , সব সময় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

এদিকে একইসময়ে মোহাম্মদপুর থানায় অনন্তের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে জিডিও করেছিলেন বর্ষা। তবে বর্ষা ওইসময়ে অনন্ত জলিলকে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি।

তবে শেষ পর্যন্ত ‘মোস্ট ওয়েলকাম ২’ সিনেমার কাজ শেষ করতে গিয়ে তাদের সাথে দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি হয়। বর্তমানে এই দুই অভিনয়শিল্পীর পারষ্পরিক বোঝাপড়া বেশ ভালো। এমনকি সর্বশেষ একটি অনুষ্ঠানে অনন্ত জানান, বর্ষাকে স্ত্রী হিসেবে পেয়ে তিনি সৌভাগ্যবান।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ‘খোঁজ-দ্য সার্চ’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন অনন্ত ও বর্ষা। পরের বছর ২৩ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তারা। সর্বশেষ ঈদুল আজহায় এই জুটির ‘দিন-দ্যা ডে’ সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।