স্কুলশিক্ষক স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টা

গতকাল বুধবার (৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা খাতুনের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ঘটিয়েছেন স্বামী সাদিকুল ইসলাম। তার বাড়ি নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া এলাকায়। তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।

এই ঘটনায় ওই শিক্ষিকার মুখ ও বুক পুড়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন ফাতেমা। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক রয়েছে।

আহতের ছোট বোন নূরজাহান খাতুন জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কিছু বোঝার আগেই গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান সাদিকুল ইসলাম। খবর পেয়ে পরে ফাতেমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আগুনে তার মুখ, বুক ও দুই হাত পুড়ে গেছে।

নূরজাহান জানান, বিয়ের পর থেকেই গত ২০ বছর ধরে বোনকে নির্যাতন করে আসছেন সাদিকুল। পারিবারিক ও সামাজিক চাপের কারণে বিষয়টি এতদিন ধরে ধামাচাপ দেওয়া হচ্ছিল। আবার দুই সন্তান থাকায় নির্যাতন সয়েই এতদিন সংসার করে আসছিলেন তার বোন ফাতেমা। এরই মধ্যে ফাতেমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় সাদিকুল।

নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দগ্ধ শিক্ষিকার স্বামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করবেন বলে জানান নূরজাহান।