কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রেখেছিলেন যে ব্যক্তি তাকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করেছে পুলিশ। শনাক্ত ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন (৩৫)। এই ইকবাল হোসেন আসলে কে? সেই প্রসঙ্গ থেকেই পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইকবাল নিয়মিত নামাজ পড়েন। আবার মাদকের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা আছে।
এ ছাড়া পুলিশের কাছে ইকবালের পরিবার দাবি করেছে, তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে পরিবারের বাইরে অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এখনো পর্যন্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশের ভাষ্য, কুমিল্লার সুজানগরের এ যুবকই পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে কুমিল্লা শহরের প্রাণকেন্দ্র নানুয়া দীঘিরপাড়ের পূজামণ্ডপে রাখেন। এরপর তা নিয়ে দেশব্যাপী তুলকালাম ঘটে।
এ ঘটনার তদন্তের সঙ্গে যুক্ত উচ্চ পর্যায়ের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ইকবাল হোসেন স্থানীয় একটি মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে কোরআন শরিফ সংগ্রহ করে মণ্ডপে গিয়ে ঢোকেন। মূলত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই তাকে শনাক্ত করা হয়। তবে ঘটনার সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। এরই মধ্যে তাদের কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নানুয়া দীঘির উত্তর-পশ্চিম দিকের বজ্রপুর এলাকায় অবস্থিত দারোগাবাড়ি মাজার সংলগ্ন মসজিদ থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে ওই মণ্ডপে যেতে সময় লাগে মাত্র দুই মিনিট। কুমিল্লার ঘটনাটিতে যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে মূল সন্দেহভাজন শনাক্ত হয়েছে, তা সামনে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। ঢাকা থেকে এটিইউর বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে নিয়ে এর রহস্য উদঘাটনে এখনো কাজ চলছে।
তবে ইকবাল কেন, কী কারণে, কাদের প্ররোচনায় পবিত্র কোরআন শরিফ নিয়ে মণ্ডপে রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছেন, সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এর আগে বুধবার রাতেই পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় শনাক্ত ওই ব্যক্তির নাম ইকবাল হোসেন। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে।
এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করেছি। তাকে গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আশা করি, শিগগিরই অগ্রগতি পাওয়া যাবে। পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, শনাক্ত ইকবাল হোসেন কোথা থেকে পবিত্র কোরআন শরিফটি সংগ্রহ করেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তা-ও বের করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, যেখান থেকে ধর্মীয় গ্রন্থ সংগ্রহ করে মন্দিরে নেওয়া হয়, সেই তথ্যও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে। এখন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ ওই ব্যক্তিকে খুঁজছে দেশের সব গোয়েন্দা সংস্থা।
গত সোমবার র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, কুমিল্লা থেকে যেহেতু সারা দেশে সহিংসতার সূত্রপাত, তাই সেখানে কারা কিভাবে এর সঙ্গে জড়িত, তা বের করার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দীঘিরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিভিন্ন থানায় আট মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নেটফ্লিক্সে আজ মুক্তি পাচ্ছে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন অভিনীত প্রথম হিন্দি ওয়েব ফিল্ম ‘খুফিয়া’। এ…
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। কয়েক দিন আগে জানা গিয়েছিল,…
ক’দিন আগেই চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ সেরেছেন নায়িকা পরীমণি। এখন পুত্র রাজ্যকে ঘিরেই…
মা হওয়ার সুবাদে দুই বছর কাজ থেকে দূরে ছিলেন। সেই বিরতি কাটিয়ে কাজে নিয়মিত হচ্ছেন।…
টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে…
মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে তারকাদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ’ (সিসিএল)। সেখানে শুক্রবার (২৯…