একুশে বইমেলায় রাশিদা বেগমের সাড়া জাগানো উপন্যাস ‘আঠারো বছর বয়স ভয়ংকর’

| আপডেট :  ২৪ মার্চ ২০২১, ০৫:১৮ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ মার্চ ২০২১, ০৫:০৩ অপরাহ্ণ

একুশে বইমেলায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ‘আঠারো বছর বয়স ভয়ংকর’ উপন্যাস। ১১২ পৃষ্ঠার বইটি প্রকাশ করেছে তৃণলতা প্রকাশ। লেখক রাশিদা বেগম এই উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর চেতনায় আঘাত করতে চেয়েছেন। কেননা নষ্ট জীবনের দায় সমাজকেই গ্রহণ করতে হয়। অন্যথায় সমাজকাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। সমাজ টিকে থাকে সৃজনশীল মানুষের কর্মের দ্বারা। যে সমাজে সৃজনশীল মানুষ অনুপস্থিত সেই সমাজের ভিত মজবুত হয় না।


উপন্যাসটি বইমেলার তৃণলতা প্রকাশ এর ৫-৬ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।

লেখক গভীর অনুধ্যান করে দেখেছেন দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পূর্বে কলেজ পর্যায়েই ঝরে পড়ে। সেজন্য তিনি আঠারো বছর বয়সকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছেন। একটি দেশের অনুন্নয়ন ও পশ্চাদপদতার পেছনে বড়ো কারণ হচ্ছে অশিক্ষা। আর এটা নিঃসন্দেহে সমাজের একটি বিশাল ক্ষত।এই ক্ষতস্থানের পরিচর্যা করার জন্য দেশের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক বলেন, আঠারো বছর বয়সে শিক্ষার্থীরা হঠাৎ যৌবনে পদার্পন করে। এ সময় আবেগ, আনন্দ, উচ্ছ্বাসে তাদের বেপরোয়া মন নানাদিকে ছুটতে থাকে।তাই খুব সহজে ভুল করার প্রবণতা থাকে। প্রেমাকাঙ্ক্ষা,প্রেম নিবেদন,পাওয়া- না পাওয়ার দ্বন্দ্ব, আত্মহত্যা, মারামারি, মাদকাসক্তি এ বয়সের শিক্ষার্থীদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এ সময় মা-বাবা, শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব পাশে থেকে সচেতন ভূমিকা পালন করলে জীবনে কেউ কেউ ঘুরে দাঁড়াতে পারে।

কোন বইটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আঠারো বছর বয়স ভয়ংকর আমার চতুর্থ বই। তবে তৃতীয় উপন্যাস। এই উপন্যাসটিই আমাকে পাঠকের কাছে সর্বাধিক পৌঁছে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ বছরের শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে রচিত এই উপন্যাস। লিখতে না পারলে একটা অতৃপ্তি থেকে যেতো।

তিনি বলেন, ব্যক্তি ও সমাজের বাইরে তো কিছু নেই। যদি থাকেও তা হবে কাল্পনিক। কাল্পনিক কিছু কখনও মানুষের অন্তর স্পর্শ করতে পারে না। তাই উপন্যাসের প্লট হিসেবে সমাজকেই বেছে নিয়েছি।

লেখকের খেয়াল সমাজ বিনির্মানে। তাই মানুষকে সমাজ সচেতন করতে বিরামহীন লিখে যাচ্ছেন। তাঁর ইউটোপিয়া, শেষ দৃশ্য উপন্যাসও এ চিন্তার বাইরে নয়। কার্ল মার্কসের সমাজতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে লেখা তাঁর ইউটোপিয়া উপন্যাস। অথচ সহজ সরল ভাষায় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তাঁর বিশেষত্ব হলো চরম বাস্তবতার মধ্যে বিশেষ কৌশলে প্রেমকে প্রশ্রয় দেওয়া। লেখকের এই সাহিত্যসাধনা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে, এতে সন্দেহ নেই।