চাকরি বাঁ’চাতে নারী বসের শ’য্যাস’ঙ্গী হয়ে বি’পাকে ত’রুণ!

| আপডেট :  ১১ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১১ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ণ

কর্মক্ষেত্রে বাজে পারফরমেন্সের কারণে ব’হিষ্কার হতে যাচ্ছিলেন এক ব্রিটিশ তরুণ। ওই সময় নারী বসের আহ্বানে তৈরি হয় শা’রীরিক সম্পর্ক। রক্ষা পায় চাকরি। এখন চাকরি ছাড়তে চাচ্ছেন, বিপাকে পড়েছেন বসের সঙ্গে গড়ে ওঠা সম্পর্ক নিয়ে।

সম্প্রতি নাম প্রকাশ না করে ব্রিটিশ এক তরুণ নিউজ ওয়েবসাইট রেডডিটে একটি লেখা পোস্ট করেন। সেখানে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে তিনি একটি কল সেন্টারে কাজ করছেন। অফিসের দেওয়া ন্যূনতম লক্ষ্য পূরণের জন্য আপ্রা’ণ লড়াই করে যাচ্ছিলেন তিনি।

গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে কল সেন্টারের চাকরিতে ওই তরুণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন না। তখন তিনি চাকরি ছাড়ার কথা নারী বসকে জানান। নারী বস তখন তাকে চাকরি না ছাড়ার অনুরোধ করেন। বলেন, তুমি থাকো, তোমার কোনো কাজ করতে হবে না, বাকি সব আমি দেখছি।

ব্রিটিশ তরুণ তার পোস্টে নারী বসের নাম ‘মিশেল’ বলে উল্লেখ করেন। ওই তরুণ বলেন, তিনি ভেবেছেন আমি চাকরি ছেড়ে চলে গেলে হয়তো তার সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখব না, যোগাযোগ করব না। বাস্তবে আমি তাই করতাম। তারপর মিশেল আমাকে হু’মকি দেয়, আমি যদি চাকরি ছাড়ার চেষ্টা করি, তাহলে অফিসের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকের কাছে গো’পন সম্পর্কের বি’ষয় জানিয়ে দেবেন।

পোস্টে তিনি লিখেন, সেপ্টেম্বরে চাকরি শুরুর পর আমি আমার ন্যূনতম লক্ষ্য পূরণ করতে পারছিলাম না। এ কারণে হতাশা কাজ করছিল। খুব চা’পে ছিলাম। আমি জানতাম আমাকে ব’হিষ্কার করা হবে। এটা আমার জন্য খুব বিব্রতকর হতো। চাকরি ছেড়ে দেবো দেবো ভাবছিলাম। এমন সময় আরও কয়েকজন সহকর্মী এবং আমার ৪৬ বছর বয়সী নারী বস মিলে স্থানীয় একটি পানশালায় যাই।

‘সেখানে আমাদের অনেক গল্প হয়। লম্বা সময় ধরে আমরা আড্ডা দেই। পরে আমি এবং আমার বস একসাথে বাসায় ফিরি। একসাথে রাত কা’টাই। পরবর্তীতে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সাক্ষাত হয়েছে। সময় কাটিয়েছি আমরা।’

‘আমার বয়স ১৯ বছর। কর্মক্ষেত্রে আমার পারফরমেন্স খা’রাপ হওয়ার কারণে বস খুব চা’প নিচ্ছিলেন। আমরা মনে হয়েছে, আমি চাকরি ছেড়ে দিলে তিনি ভালো থাকবেন। তিন সপ্তাহ আগে আমি তাকে জানাই, আমি চাকরি ছেড়ে দিতে চাচ্ছি। তিনি চাকরি না ছাড়তে অনুরোধ করেন। প্রতিশ্রুতি দেন, আমার কাজ সহজ করে দেয়ার চেষ্টা করবেন।’

‘তিনি আমার কাজ সহজ করে দিয়েছেন। এখন আমি অফিসে যাই। সবার সাথে গল্প করি। বসে থাকি। তেমন কোনো কাজ আমাকে করতে হয় না। আর তিনি আমার কাজকে বৈধ বলেই মেনে নিচ্ছেন। কারণ তিনি আমাকে হারাতে চান না।’

‘আমি এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে চাই। কিন্তু স’মস্যা হচ্ছে নারী বস এখন বলছেন, আমি যদি কাজ ছেড়ে দেই, তাহলে এতদিন যে আমি কাজ করিনি, অফিসে কাজ না করে বসে গল্প করে সময় কাটিয়েছি, সেটা তিনি তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেবেন। তিনি এমনভাবে নালিশ করার বি’ষয়টি বলছেন, মনে হয় তিনি সত্যি সত্যি আমার নামে অ’ভিযোগ করবেন। আমি বুঝতেছি না কেন তিনি এমনটা করছেন। পরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।’

তার এ পোস্টে অনেকে মন্তব্য করেছেন। নানা ধরনের পরামর্শও দিয়েছেন।

একজন ওই তরুণের উদ্দেশে বলেন, তোমার বস তোমার সঙ্গে কারসাজি করছে। এসব না করে তিনি বলে দিলেই পারে, তুমি কাজে ফাঁকি দিয়েছো? কেন তোমাকে শুধু শুধু হ’য়রানি করছে? অ’ভিযোগ দিয়ে তোমার বস কিছুই করতে পারবে না। কারণ তুমি তার অধীনে, তার দেওয়া সুবিধা নিয়েই কাজ করোনি। তোমার বয়স ১৯; তোমার বসের বয়স ৪৬। তার বয়স তোমার মায়ের সমান। সে তোমার সঙ্গে বেআইনি কাজ করছে।

আরেকজন লেখেন, যাহোক, আমাকে বিশ্বাস করো, তুমি চাকরি ছেড়ে দাও। আর কখনোই এ চাকরির অভিজ্ঞতার কথা কোনো সিভিতে লিখবে না। তোমার জীবন এ অভিজ্ঞতা ধ্বং’স করে দেবে। এ অবস্থা বেশিদিন চলতে দেওয়া উচিৎ হবে না। বস, তোমার জন্য আরও স’মস্যা তৈরি করবে। তিনি তোমাকে সহায়তা করছেন না, তোমার ক্যারিয়ার ধ্বং’স করে দিচ্ছেন। তিনি একজন প্র’তারক।

আরেকজন বলেন, নতুন সিভি তৈরি কর। অন্য চাকরি খোঁজো। এ বি’ষয় নিয়ে অতিরিক্ত ভেব না। তোমার বস কারো কাছে অ’ভিযোগ দেবে না। কারণ অ’ভিযোগ দিলে সে-ই বি’পদে পড়বে। সে তোমাকে যে কোনো মূল্যে ব্যবহার করতে চাইছে।

অন্যরা তাকে চাকরি না ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শ, একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে বসের বি’রুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগে অ’ভিযোগ দা’য়ের করার।

‘সে তোমার নামে অ’ভিযোগ দেবে না। কারণ অ’ভিযোগ দিলে সে নিজে স’মস্যায় পড়বে। যদি তুমি চাকরিতে থাকতে চাও, তাহলে একজন আইনজীবী জোগাড় কর, তোমার অফিসের মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগে যোগাযোগ কর। আর যদি মনে করো ছেড়ে দেবে, তাহলে আরেকটি চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা কর। অতীতে কি হয়েছে সামনে আগানোর সময় তা মাথায় নেয়ার দরকার নেই।’ বলেন একজন।

আরেকজন বলেন, এটি যৌ’ন হ’য়রানি। তোমার বয়স মাত্র ১৯। যদি তোমার বস পুরুষ হতো; আর তুমি নারী হতে, তাহলে বি’ষয়টাকে তুমি কিভাবে দেখতে? সে তোমাকে কাজে ফাঁকি দেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তোমার বসের বস, এটা পছন্দ করবে না। তোমার বস তার চাকরি হারাবে এবং খা’রাপ পরিণতিতে পড়বে। এটা নিয়ে সে ভীত, সে তোমার নামে অ’ভিযোগ দেবে না।

তৃতীয় আরেকজন বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে বলছি, সে তোমাকে যে কাজে ফাঁকি দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি তা স্বীকার করবেন না। তুমি ছেড়ে গেলেও তোমাকে তিনি কিছু করতে পারবেন না। যদি অ’ভিযোগ দেও, তাহলে তোমার বসের মান সম্মান যাবে। পরবর্তী পোস্টে তুমি তোমার নাম স্পষ্ট করে জানিও। তোমাদের সম্পর্কের তথ্য প্রমাণ আমি সংগ্রহ করতে চাই। তোমাকে সেখান থেকে উ’দ্ধার করার জন্য।