না’বালককে মা’দক খাইয়ে জো’র করে স’ম্পর্ক, অ’ন্তঃসত্ত্বা ৪০ বছরের নারী

| আপডেট :  ১৫ জুন ২০২২, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৫ জুন ২০২২, ১১:৩৬ অপরাহ্ণ

না’বালক ছে’লে। কিন্তু তাকে দিয়েই নিজের যৌ’ন চাহিদা মেটাতেন এক না’রী। অবাস্তব বলে মনে হলেও এই ঘটনা বাস্তব। ১৫ বছর বয়সি এই ছে’লেকে এক প্রকার পুতুলের মতো ব্যবহার করতেন এই মহিলা। তবে পরিস্থিতি এর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে যায়। এই না’বালকের সঙ্গে স’ম্পর্কের ফলে অ’ন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। সুত্র: মিরর।

তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জে’লের ঘানি টানতে হল এই ম’হিলাকে। না’বালকের সঙ্গে যৌ’ন সস্পর্কে লিপ্ত এই ম’হিলার নাম সারা ক্যাম্পবেল। ইংল্যান্ডের মার্সেসাইডের বুটলের বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সি এই ‘মহিলা গল্ফ কোর্স থেকে শুরু করে ঘরের মধ্যে এই না’বালকের সঙ্গে অ’বাধ যৌ’নমিলন শুরু করেছিলেন। এমনকি অ’ভিযুক্ত সারা নি’র্যাতিতকে মা’দক প্রয়োগ করে আচ্ছন্ন রাখতেন বলেও অ’ভিযোগ।

তবে সারা অ’ন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর আর চুপ থাকতে পারেনি ওই না’বালক। কাছের এক মানুষকে পুরো ঘটনাটি জানায় সে। এর পরই না’বালককে নিয়ে আ’দালতের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি। সারা ক্যাম্পবেলের বি’রুদ্ধে ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দুই না’বালকের উপর যৌ’ন নি’র্যাতনের একাধিক অ’ভিযোগ আনা হয়েছে। লিভারপুল ক্রাউন কোর্টে সারার বিচার চলাকালীন উঠে আসে যে, তিনি কী ভাবে ওই না’বালককে মা’দক দিয়ে জো’র করে সঙ্গম করতে বা’ধ্য করাতেন। অ’ভিযুক্ত প্রায় নিয়মিত ওই না’বালককে মা’দকের নে’শায় আচ্ছন্ন রাখতেন বলেও অ’ভিযোগ উঠেছে।

আইনজীবী মার্টিন স্নোডন আ’দালতে জানান, সারা নিজে নিয়মিত গাঁ’জা ও কো’কেনের মতো মা’দক গ্রহণ করতেন এবং নি’র্যাতিত না’বালককেও করাতেন। সারাই এই মা’দকের জোগান দিতেন বলেও অ’ভিযোগ। স্নোডন আ’দালতে আরও জানান, ওই না’বালক যাতে তাঁর বাড়ির বা এলাকার লোকেদের নজরে না পড়ে তাই তাকে লুকিয়ে বাড়িতে আনতেন অ’ভিযুক্ত সারা।

তবে তাঁর বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ আনার পর সমস্ত দো’ষ অস্বীকার করেন সারা। পাল্টা অ’ভিযোগ আনেন যে, ওই না’বালকই নে’শার ঘোরে তাঁকে ধ”ণ করেছে। তবে আ’দালতে সারার যুক্তি ধোপে টেকেনি। না’বালকের সঙ্গে জো’র করে যৌ’নমিলনের ফলেই তিনি স’ন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন বলেই প্রমাণিত হয়েছে।

সারার বি’রুদ্ধে একাধিক যৌ’ন অ’পরাধের অ’ভিযোগ আনা হয়েছিল। ২০২১ সালে সারার বি’রুদ্ধে এই মা’মলা আ’দালতে ওঠে। আ’দালতে ওঠার পরেই সারা ফেরার হন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে দো’ষী সাব্যস্ত করে আ’দালত। এরপর আবার বুটলে ফিরে আসার পর সারাকে গ্রে’ফতার করা হয়।

সারাকে গ্রে’ফতার করে আ’দালতে হাজির করানো হলে বিচারক ইয়ান হ্যারিস তাঁকে বলেন, তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য ওই না’বালকের জীবনের অনেকখানি সময় ন’ষ্ট হয়েছে এবং তার জীবনে গভীর দাগ পড়েছে। ওই না’বালককে মা’দক খাইয়ে তাঁর সঙ্গে ন’বার জো’র করে যৌ’নস’ঙ্গম করার অ’ভিযোগে সারাকে মোট সাড়ে ন’বছরের জন্য জে’লে পাঠানো হয়।

সারার আইনজীবী সাইমন ক্রিস্টি আত্মপক্ষ সমর্থনে জানান, সারা নিজেই যৌ’ন নি’র্যাতনের শি’কার। কা’রাগারে থাকাকালীন যাতে সারাকে চি’কিৎসকদের সঠিক পরামর্শে রাখা হয়, সেই বি’ষয়েও আবেদন জানান সাইমন। সাইমন বলেন, সারাকে জে’লে সাফাইকর্মীর কাজ দেওয়া হয়েছে এবং তিনি খুব ভাল ভাবেই নিজের দায়িত্ব পালন করছেন।