আফগানিস্তানে ফের মসজিদে হা’মলা, নি’হত ৩৩

| আপডেট :  ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

আফগানিস্তানের কুন্দুজে একটি সুন্নি মসজিদে বো’মা হা’মলায় ৩৩ জন নি’হত ও ৪৩ জন আ’হত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ এপ্রিল) হা’মলার এ ঘটনা ঘটে। তালেবান স’রকারের তথ্যমন্ত্রী জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক টুইট বার্তায় হা’মলার বি’ষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুইদিনে পরপর দুটি বড় ধরনের বো’মা হা’মলার ঘটনা ঘটলো দেশটিতে।

জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, কুন্দুজের ইমাম শহিব জে’লায় একটি মসজিদে হা’মলায় শি’শুসহ ৩৩ জন নি’হত হয়েছেন। এ ঘটনায় আ’হত হন আরও ৪৩ জন। হা’মলায় হ’তাহতদের পরিবারের প্রতি শো’ক জানান তিনি। একই সঙ্গে এ ধরনের হা’মলার নি’ন্দা জানান তালেবান স’রকারের এ কর্মকর্তা।

শুক্রবারের হা’মলা ছিল আফগানিস্তানজুড়ে সিরিজ বো’মা হা’মলার সর্বশেষ ঘটনা। এ হা’মলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে একটি শিয়া মসজিদে শক্তিশালী বি’স্ফোরণে অন্তত ২৫ জন নি’হত হন। এ হা’মলায় আ’হত হয়েছেন আরও ৪০ জন। পরে হা’মলার দায় স্বীকার করে জ’ঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। একইদিনে কুন্দুজে আরেকটি হা’মলায় নি’হত হন ৪ জন এবং আ’হত হন ১৮ জন। কুন্দুজের পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, দুই হা’মলার ঘটনা খতিয়ে দেখছে তারা।

এসব হা’মলার ঘটনায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তালেবান স’রকার। শুক্রবারের হা’মলা ছিল গত বছর আগস্টে তালেবান ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর সবচেয়ে বড় হা’মলার ঘটনা। আফগানিস্তানের তালেবান স’রকার জ’ঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের খোরাসান শাখাকে (আইএস-কে) পরাজিত করেছে বলে দাবি করলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এর আগে গত অক্টোবরে একটি শিয়া মসজিদে বো’মা হা’মলায় ৫৫ জন নি’হত এবং আ’হত হন আরও অনেকে। সেই হা’মলার দায় স্বীকার করে আইএস।আইএস তালেবানের মতো একটি সুন্নি দল কিন্তু দুটি গোষ্ঠীই তিক্ত প্রতিদ্ব’ন্দ্বী। উভয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় আদর্শগত পার্থক্য হলো তালেবানরা শুধু বিদেশি বাহিনী মুক্ত আফগানিস্তান চেয়েছিল, যেখানে আইএস একটি ইসলামী খেলাফত চায়।

আফগানিস্তানের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক ওবায়দুল্লাহ বাহির বলেন, তালেবানকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদা’য়ের সঙ্গে তালেবানের একত্রে বসা দরকার। আফগানিস্তানে একটি শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সহিং’সতা অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়তে পারে।সূত্র: আল-জাজিরা