অধিবেশনের মাঝেই ডেপুটি স্পিকারকে পে’টালো পাক এমপিরা

| আপডেট :  ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩২ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৬ এপ্রিল ২০২২, ১০:৩২ অপরাহ্ণ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব হা’রানো ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) আইনপ্রণেতারা দেশটির পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্ম’দ মাজারিকে মা’রধর করেছেন। শনিবার (১৬ এপ্রিল) পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য শুরু হওয়া অধিবেশনে ডেপুটি স্পিকারের আসন গ্রহণের সময় তাকে থাপ্পড়, কিল-ঘু’ষি মা’রার পাশাপাশি বোতল ও ফুলের টব ছু’ড়ে মা’রেন ইমরানের দলের এমপিরা।

দলত্যাগ করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক এমপিরা মাজারির ও’পর চড়াও হন এবং তার চুল ধরেও টানা হেঁচড়া করেন। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, মাজারিকে ইমরানের দলের এমপিরা থা’প্পড় এবং কিল-ঘু’ষি মারছেন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উ’দ্ধার করেন।

শনিবার পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা পদ্মফুল নিয়ে আসেন। পিটিআই ত্যাগ করে বি’রোধীদের জোটে যোগ দেওয়া আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে ‌‘লোটা’ ‘লোটা’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। এর এক পর্যায়ে তারা বি’রোধীদের আসনে বসার সিদ্ধান্ত নেন।

পিটিআইয়ের আইনপ্রণেতারা বলেন, তারা দলের ২৪ জন ভিন্নমতাবলম্বী সদস্যকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট দিতে দেবেন না। ইমরান খানের বি’রুদ্ধে পাকিস্তানের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের এই সদস্যরা পিটিআই ত্যাগ করে বি’রোধীদের জোটে যোগ দিয়েছিলেন।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে ব্যাপক প্রতিদ্ব’ন্দ্বিতা হয়েছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, বিশৃঙ্খলা আর হট্টগোলের পর পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তান মু’সলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) দলীয় প্রার্থী হামজা শেহবাজ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। এই অধিবেশনের শুরুতে ইমরানের দলের এমপিরা ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্ম’দের ও’পর হা’মলা চা’লিয়েছেন। এতে পিএমএল-কিউয়ের প্রধান চৌধুরী পারভেজ এলাহীসহ আরও কয়েকজন আ’হত হয়েছেন।

৩৭১ আসনে পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য ১৮৬ ভোটের দরকার হলেও হামজা শেহবাজ ১৯৭ ভোট পেয়েছেন। ইমরানের দল ছেড়ে আসা এমপিরা ভোট দেওয়ায় হামজা বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন ঘিরে পিটিআই-ত্যাগী ২৪ এমপিকে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে একটি হোটেলে রেখেছিল পাকিস্তান মু’সলিম লীগ-নওয়াজ। যাতে এই সদস্যরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কোনো চা’পের মুখোমুখি না হন, সে জন্য তাদের হোটেলে রাখা হয়।