ফর্সা সন্তান পেতে যা খেতেন সানিয়া!

| আপডেট :  ৯ এপ্রিল ২০২২, ১০:০৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ এপ্রিল ২০২২, ১০:০৫ অপরাহ্ণ

ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জার সন্তান যাতে ফর্সা হয় সেজন্য গর্ভাবস্থায় তাকে আপেল খাওাতেন সানিয়ার মা, এ কথা জানিয়েছেন খোদ সানিয়ার স্বামী ও পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। আর এই মন্তব্য ঘিরেই পাকিস্তানের সামাজিক মাধ্যমে নতুন সামনে এসেছে বর্ণবাদ বিরোধী আলোচনা।

পাকিস্তানের নিদা ইয়াসিরের মর্নিং শো ‘শান-ই-সুহুরে’ গেলো ৬ এপ্রিল অভিনেত্রী উশনা শাহের সাথে উপস্থিত হয়েছিলেন শোয়েব। সেখানে ফর্সা ত্বকের সৌন্দর্যের ওপর সমাজের ধারণা নিয়ে আলোচনা উঠলে শোয়েব বলেন, আমার শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে প্রচুর আপেল খেতে বাধ্য করেন। তারা বলে যে (এটি করার মাধ্যমে) শিশুর ত্বক ফর্সা হয়।

এ সময় শাহ বলেন, কিন্তু তোমার ছেলে তো ফর্সা।
জবাবে মালিক হেসে বলেন, হ্যাঁ, খুবই ফর্সা। এটি (আপেল) কাজ করেছে।
মালিকের এমন মন্তব্যের বিরোধিতা করে সাথেসাথে পাল্টা মন্তব্য করেন উশানা। তিনি বলেন, কালো ত্বকের তুলনায় ফর্সা ত্বককে চূড়ান্ত সৌন্দর্যের মান হিসাবে বিবেচনা করা অযৌক্তিক।

শাহ আরও বলেন, আমি মনে করি লম্বা এবং কালো মানুষও সুদর্শন। আমার ক্রাশ কোবে ব্রায়ান্ট (আমেরিকান পেশাদার বাস্কেটবল খেলোয়াড়) যিনি একজন কালো মানুষ। মানুষকে কেন এভাবে দেখা হয় তা আমি বুঝতে পারি না। আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রিতেও অনেক সুন্দরী মহিলা রয়েছে যাদের ত্বক কালো।

এ অভিনেত্রী জানান, তার বাবার পরিবারের একজন (চাচা) আছেন যিনি পারস্য বংশোদ্ভূত। সে ব্যক্তি শাহকে মাত্র ৬০ শতাংশ সুন্দর বলেছেন, কারণ তিনি তাদের মতো ফর্সা নন।

পাকিস্তানের সমাজে ছড়িয়ে থাকা বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শুধু শাহ একাই কথা বলেননি। মডেল মুশক কলিমও ২০১৯ সালে এর বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন। যিনি মডেলিংয়ের জন্য নিজের ত্বক ফর্সা করতে রাজি হননি।

কলিম বলেছিলেন, না, আমি সাদা চামড়ার মেয়ে নই, আমার ত্বক ধূসর এবং ব্রোঞ্জ রঙের। সেই সমস্ত ক্লায়েন্টদের জন্য বলছি, যারা আমাকে শুটিংয়ের জন্য চুক্তি করে এবং তারপর আমাকে ফর্সা দেখাতে হালকা মেকআপ করে। এসব চিন্তা নিয়ে আপনারা আমার সাথে চুক্তি করবেন না, আমি এটাই চাই।

ঔপনিবেশিক আমল থেকেই ফর্সা ত্বককে সৌন্দর্যের মানদণ্ড ধরা হলেও পাকিস্তানে এ ধারণা বদলাচ্ছে।পাকিস্তানের নেট নাগরিকরা অনেকেই বলছেন, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলির দিন চলে গেছে। সব রঙের ত্বকই সুন্দর। এটি ২০২২ সাল, সৌন্দর্যের কোনো সূত্র নেই।