স্ত্রীকে হ’ত্যা করাতে ভাড়া করলেন খু’নী, টাকার বদলে ধ’র্ষণের ‘সুযোগ’ দেবে স্বামী

| আপডেট :  ৬ মার্চ ২০২২, ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ মার্চ ২০২২, ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ভাড়াটে খু’নির সঙ্গে ‘চুক্তি হয়েছিল, স্ত্রীকে খু’নের জন্য টাকা দিতে পারবে না স্বামী। তবে খু’নের আগে ধ”ণের ‘সুযোগ’ মিলবে। ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল থানার এক নারীকে খু’নের ত’দন্তে নেমে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে দেশটির পুলিশ।

এরই মধ্যে খু’নের অ’ভিযোগে গ্রে’প্তারি করা হয়েছে স্বামীকে। পুলিশ বলছে, ত’দন্তকারীদের দাবি, ওড়না দিয়ে গ’লায় পেঁ’চিয়ে স্ত্রীকে হ’’ত্যা করেছে স্বামী।বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, ওই ঘটনার পর আরও একজনকে খুঁজছে পুলিশ। আর ম’য়নাত’দন্তের রিপোর্ট পেলে স্পষ্ট বলা যাবে ওই নারীকে ধ”ণ করা হয়েছিল কি না।

পুলিশ জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝ’গড়া হতো। প্রায়ই ওই নারী বাপের বাড়িতে চলে যেতেন। দু’জনেই এক অপরকে স’ন্দেহ করতেন বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে।কয়েকদিন আগেও ওই নারীকে মা’রধর করে স্বামী। এরপর বাপের বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। পুলিশ বলছে, এর পরেই স্ত্রীকে খু’নের পরিকল্পনা করে স্বামী।ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, এক পরিচিত দু’ষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ করে স্বামী। ‘চুক্তি’ হয়, স্ত্রীকে খু’ন করতে টাকা দিতে পারবে না। তবে স্ত্রীকে ধ”ণের সুযোগ করে দেবে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে ওই নারী ওই দু’ষ্কৃতীর সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সী’মান্তের দিকে যান। সেসময় ওই নারী স্বামী এবং আরও এক জন পিছু নেয় তাদের। পুলিশ জানায়, সী’মান্তের কাছে একটি বাঁশবাগানে নারীকে মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে হাজির হয়ে স্ত্রীকে মা’রধর করে স্বামী এবং গ’লায় ওড়নার ফাঁ’স দিয়ে শ্বা’সরো’ধ করে খু’ন করে পা’লিয়ে যায়।দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ে। বাড়ি ফিরে ওই ব্যক্তি তাদের কাছে জানতে চায় তার মা কোথায়। এরপর নিজেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

বনগাঁর এসডিপিও অশেষবিক্রম দস্তিদার জানান, স্ত্রীকে খোঁজাখুঁজি করলেও থানায় ডায়েরি করেনি স্বামী। শ্বশুরবাড়িতে ফোন করেও খোঁজ নেননি। অনেক সময়ে অশান্তি হলে মহিলা বাপের বাড়ি চলে যেতেন। ত’দন্তে নেমে এই বি’ষয়গু’লি পুলিশের নজরে আসে।

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা সী’মান্তের কাছে বাঁশবাগানে এক নারীর ম’রদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ম’রদেহ উ’দ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ম’য়নাত’দন্তের জন্য পাঠায়। পরে মৃ’তের ভাই থানায় বোনের জামাইয়ে বি’রুদ্ধে হ’’ত্যা মা’মলা করেন। রাতেই স্বামীকে গ্রে’প্তার করে পুলিশ। শুক্রবার তাকে বনগাঁ মহকুমা আ’দালতে তোলা হলে বিচারক ৮ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান।সূত্র: আনন্দবাজার