সব
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে নেপালের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়েছে। আর এর জন্য বিরোধীদলগুলো দীর্ঘদিন যাবৎই প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করে আসছিলো। তাদের মতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতাই এর জন্য দায়ী।
আর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। মন্ত্রী পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে তিনি নির্বাচিত সরকার ভেঙে দেয়ার প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন তিনি।
বৈঠকে ওলি সরকার ভেঙে দেয়ার বিস্তারিত কোনো কারণ উল্লেখ না করেই বলেন,যেহেতু তার সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে সুতরাং সরকার ভেঙে দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে নেপালের জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী বারসামান পান জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সরকার ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং প্রস্তাবটি রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর কাছে সেটি পাঠনো হয়েছে।
তবে, রাষ্ট্রপতি সরকার ভেঙে দেয়ায় মত দেবেন কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে নেপালসহ ভারতীয় গণমাধ্যমে গুঞ্জন চলছে।
এদিকে, এভাবে সরকার ভেঙে দেয়ার প্রস্তাব সংবিধানের পরিপন্থী উল্লেখ করেছেন নেপালের জ্যেষ্ঠ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাধব কুমার। তিনি মনে করেন এই প্রস্তাব দ্রুত প্রত্যাহার করা উচিত।