সব
পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিলেও তার করে যাওয়া ভবি’ষ্যদ্বাণীগুলো একের পর এক মিলতে শুরু করে। যেমন: ৯/১১, ব্রেক্সিট এবং ভাই’রাসের হা’নায় অতিমারীর মতো নানা ঘটনা। তিনি হলে বাবা ভাঙ্গা। বুলগেরিয়ার বাসিন্দাদের কাছে তো বটেই, সারা বিশ্বের কাছেই দৃষ্টিহীন এই বৃ’দ্ধার জনপ্রিয়তা যথেষ্ট।
১৯৯৬ সালে মা’রা যার তিনি। তার আগেই বলে গিয়েছেন ভবি’ষ্যৎ দুনিয়ার নানান কথা। যার মধ্যে ছিল এমন এক ভবি’ষ্যদ্বাণী যা আজকের পৃথিবীতে প্রচণ্ড প্রাসঙ্গিক। কী সেই ভবি’ষ্যদ্বাণী? তিনি বলে গিয়েছিলেন, একদিন রাশিয়া পৃথিবী শাসন করবে!এই মুহূর্তে ইউক্রেনের আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে রুশ যু’দ্ধবিমান। প্রতিবেশী দেশকে দ’খলে রাখতে চাইছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
প্রশ্ন উঠছে, তৃতীয় বিশ্বযু’দ্ধ কি আসন্ন? যদিও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন-রাশিয়ার লড়াইয়ে অন্য কোনো দেশই এগিয়ে আসেনি। তবুও রাশিয়া যেভাবে আমেরিকার হুঁ’শিয়ারি অমান্য করে ইউক্রেনের উপর ঝাঁ’পিয়েছে পড়েছে তাতে আগামী দিনে বিশ্বের শক্তিধর দেশের তালিকায় রাশিয়া আরও উঁচুতে উঠে আসতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাবা ভাঙ্গার ভবি’ষ্যদ্বাণী ঘিরে জাগছে প্রশ্ন? তাহলে কি আগামী পৃথিবীর শাসক হয়ে উঠবেন পুতিন? ১৯১১ সালে বুলগেরিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন বাবা ভাঙ্গা। মাত্র বারো বছর বয়সে চোখের দৃষ্টি হা’রান এই মহিলা। খুলে যায় অন্তর্দৃষ্টি। তখন থেকেই তিনি ভবি’ষ্যৎ দেখতে পেতেন বলে দাবি করা হয়।
আমেরিকায় জোড়া বিমান হা’মলা থেকে ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি- অনেক কিছুই। সেই তিনিই বলেছিলেন, সব গলে যাবে, বরফের মতো। কেবল একজনের গায়েই আঁচড় লাগবে না। তা রাশিয়ার গৌরব। রাশিয়াকে কেউ আ’টকাতে পারবে না। একদিন রাশিয়াই বিশ্বের শাসক হবে। তবে বাবা ভাঙ্গা এমন বলে গেলেও ইউক্রেনের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশের সামনেই কিন্তু চা’পে পড়ে গিয়েছেন পুতিন। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল, দিন দুয়েকের মধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেন দ’খল করে ফেলবে।
কিন্তু কোনো দেশ সাহায্যের জন্য এগিয়ে না এলেও এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন যে পাল্টা লড়াই চা’লিয়ে যাচ্ছে তা চমকে দিয়েছে সকলকে। পাশাপাশি এভাবে যু’দ্ধ ঘোষণা করার জন্য গোটা বিশ্বের বহু দেশ তো বটেই, নিজের দেশেই কোনঠাসা রাশিয়ার প্রে’সিডেন্ট। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে অবশ্য বাবা ভাঙ্গার এই ভবি’ষ্যদ্বাণী ফলার মতো তেমন কিছু চোখে পড়ছে না।সূত্র: ইন্ডিয়া ডটকম
