যুদ্ধে নিহতদের দেহ ভ্যানিশ করতে জ্বলন্ত চুল্লির শ্মশান নিয়ে ঘুরছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী

| আপডেট :  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৩৩ অপরাহ্ণ

চারদিন ধরে প্রবল যু’দ্ধ। আকাশ এবং স্থলপথে রুশ সে’না যেমন দাপটের সঙ্গে ইউক্রেনের একের পর এক বড় শহরে ঢোকার চেষ্টা করছে, তেমনি সাধারণ নাগরিকদের একাংশের সহায়তায় প্রতিরোধ গড়ে উঠছে। কিন্তু এই যু’দ্ধে কত মানুষের প্রা’ণ গেল? কতজন সাধারণ নাগরিক যু’দ্ধের বলি হলেন? দুই দেশের কত সে’নাই বা মা’রা গেলেন? তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও মেলেনি।

স’রকারি সূত্র বলছে, এখনও পর্যন্ত দু’ পক্ষের হাজারের বেশি মানুষের প্রা’ণ গিয়েছে। এর মধ্যে ২৪০ জন সাধারণ নাগরিক। কিন্তু ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি হতে পারে। মৃ’তের সঠিক পরিসংখ্যান না পাওয়ার কারণ রাশিয়ার কৌশল। অনেক মৃ’তদেহ নাকি রাশিয়ার সে’নাবা’হিনী রীতিমতো ভ্যানিশ করে দিচ্ছে। সঙ্গে চলমান শ্মশান নিয়ে ঘুরছে তারা।

কী এই চলমান শ্মশান? এটা একটা বিশেষ ধরনের ট্রাক। যার মধ্যে রয়েছে জ্বলন্ত চুল্লি। মৃ’তদেহ ওই জ্বলন্ত চুল্লিতে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই কেল্লাফতে। নিমেষে তা পু’ড়ে ছাই হয়ে যাবে। সাঁজোয়া গাড়ি বা অ’স্ত্রশস্ত্র-গোলাবারুদ ছাড়াও বিশেষভাবে তৈরি এই চলমান শ্মশান সঙ্গে নিয়ে ঘুরছে পুতিনের বাহিনী। এতে নাকি নি’হত রাশিয়ার সৈনিকদের দেহ পু’ড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

আমেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, রাশিয়ার হা’মলায় ক্ষয়ক্ষ’তির আসল পরিসংখ্যান আড়াল করতেই এই ধরনের চুল্লি নিয়ে যু’দ্ধক্ষেত্রে গিয়েছে। একদিকে যেমন এতে রাশিয়ার সে’নাবা’হিনীর দেহ পোড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে তেমনি

পোড়ানো হচ্ছে যু’দ্ধ নি’হত সাধারণ নাগরিকদের দেহও। যাতে যু’দ্ধের ক্ষয়ক্ষ’তি আড়াল করা যায়। রাশিয়ার তরফে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপের কথা স্বীকার করা না হলেও যু’দ্ধরত সৈনিকদের পরিবারের অনেকেই এই ধরনের অ’ভিযোগ করছেন।

এদিকে রাশিয়ায় বাড়ছে যু’দ্ধবি’রোধী বি’ক্ষো’ভ। শনিবারও রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে বি’ক্ষো’ভ দেখিয়েছেন যু’দ্ধ বি’রোধীরা। ক’ঠোর হাতে তাদের দ’মন করছে প্রশাসনও। সংবাদসংস্থা এএফপি সূত্রের খবর, শুধু শনিবারই ৩ হাজার যু’দ্ধ বি’রোধীকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ। সূত্র: দ্য সান, ফক্স নিউজ।