১১৪ মাছ বিক্রি করে রাতা রাতি অর্ধকোটি টাকার মালিক জেলে!

| আপডেট :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

এ যেন আলাদিনের চেরাগ পাওয়ার মতো। রাতা রাতি হয়েগেলেনে অর্ধকোটি টাকার মালিক। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছিল ১১৪টি তেলিয়া ভোলা মাছ। ভারতের ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার আড়তে সেই মাছ বিক্রি হয়েছে ৬০ লাখ টাকায়। এই মাছ দেখতে মঙ্গলবার আড়তে ভিড় জমান বহু মানুষ৷ খবর আনন্দ বাজার।

প্রতিবেদনে উল্লেখ্য আছে, মৎস্যজীবী সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা গেছে, দিন কয়েক আগেই কাকদ্বীপ থেকে মৎস্যজীবীদের নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল ট্রলার ‘এফবি গিরিবালা’। সমুদ্রে মাছ ধরার সময় জালবন্দি হয় তেলিয়া ভোলা মাছের একটি ঝাঁক। জাল ট্রলারে তুলে দেখা যায় ১১৪টি তেলিয়া ভোলা ধরা পড়েছে। এর পর কালবিলম্ব না করে ট্রলার নিয়ে কাকদ্বীপ বন্দরে ফিরে আসেন ওই মৎস্যজীবীরা।

সোমবার মাছ নিয়ে যাওয়া হয় ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজার আড়তে। সেখানেই নিলামের মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকায় বিক্রি হয় সেই মাছ। ট্রলার মালিক তপন গিরি বলেন, ‘অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের মতো চাইলেই তেলিয়া ভোলা ধরা সম্ভব নয়। ভাগ্যে ছিল বলেই আমরা ১১৪টি মাছ পেয়েছি।’

আরও পড়ুনঃ কাঠমিস্ত্রির কাজ করা মোস্তাকিম রাবি ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম !রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন মোস্তাকিম আলী। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের গ্রুপ-৩ এ ৮০ দশমিক ৩০ নম্বর পেয়ে প্রথম হন তিনি।মোস্তাকিম আলী রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাঁধাইড় মিশনপাড়া এলাকার শামায়ুন আলীর ছেলে। শামায়ুন পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। পঞ্চম শ্রেণি পাসের পর বাবার সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন মোস্তাকিম।

মোস্তাকিমের মায়ের নাম জোসনা বেগম। তিনি একজন গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় মোস্তাকিম। সংসারে অভাবের কারণে মেজো ভাই আজিজুল হক পড়াশোনা না করে বাবার সাথে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। ছোট বোন ফাহিমা খাতুন মুণ্ডুমালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অনেক কষ্টে দুই ছেলে-মেয়েকে পড়ালেখা করাচ্ছেন কাঠমিস্ত্রি শামায়ুন।

কোনো ভর্তি কোচিং বা স্পেশাল প্রাইভেট পড়িনি। তবে স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। অনলাইনে কিছু ভর্তি প্রস্তুতির লেকচার পেয়েছি। সেগুলো অনুশীলন করে নিজেকে তৈরি করেছি।মোস্তাকিম এখনো কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। তবে ভর্তি পরীক্ষার ১৫ দিন আগে কাজে বিরতি দেন তিনি। ১১ অক্টোবর মধ্যরাতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এরপর থেকেই আনন্দের বন্যা বইছে তার পরিবারে।মোস্তাকিম উপজেলার মুন্ডুমালা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০১৫ সালে জেএসসি পাস করেন। একই স্কুল থেকে ২০১৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করেন। জেএসসিতে জিপিএ-৫ পেলেও এসএসসিতে পান জিপিএ-৪.৫৫।

এরপর রাজশাহীর তানোর উপজেলার ফজর আলী মোল্লা ডিগ্রি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন মোস্তাকিম। ২০১৯ সালে এইচএসসিতে জিপিএ-৪.০৮ পেয়ে পাস করেন। পরে রাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিলেও উত্তীর্ণ হননি। তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদিনা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অনার্সে ভর্তি হন। কিন্তু আশা ছাড়েননি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির। সে জন্য ২০২০ সালে এইচএসসিতে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়ে পান জিপিএ-৪.৮৩। এবার তিনি রাবির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন এবং সবার মধ্যে প্রথম হন।