কুরআন তেলাওয়াত-পর্দার কারণে মু’সলিম’দের গ্রে’প্তার করেছে চীন

| আপডেট :  ৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:১০ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৯ ডিসেম্বর ২০২০, ০২:১০ অপরাহ্ণ

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, পর্দা করা বা হ’জ করতে যাওয়ার কারণে সেখানে ব’ন্দি হয়েছেন অনেকেই। আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানিয়েছে যু’ক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা জিনজিয়াংয়ের আকসু অঞ্চলের দুই হাজারের বেশি ব’ন্দির ফাঁ’স হওয়া একটি তালিকা বিশ্লেষণ করে তুর্কি মু’সলিম নি’পীড়নের ভ’য়াবহ চিত্র খুঁজে পেয়েছে। ইন্টিগ্রেটেড জয়েন্ট অ’পারেশন প্ল্যাটফর্ম (আইজেওপি) নামে পরিচালিত চীনের ওই অ’ভিযানে কারও পারিবারিক স’ম্পর্ক, যোগাযোগ, ভ্রমণ বা চীনা কর্তৃপক্ষ স’ন্দেহভাজন মনে করে এমন কারও সঙ্গে স’ম্পর্কিত হওয়ার কারণে মু’সলিম’দের ব’ন্দি করা হয়েছে।

এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে, মিস টি নামে জনৈক নারী ব’ন্দি হয়েছিলেন, কারণ স্প’র্শকাতর দেশের সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করেছিল আইজেওপি। তালিকায় মিস টি স’ম্পর্কে বলা হয়েছিল, ২০১৭ সালের মা’র্চে একটি বিদেশি ফোন নম্বর থেকে চারবার কল পেয়েছিলেন তিনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কল করে দেখেছে, সেটি মিস টি’র বোনের নম্বর।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরো জানিয়েছে, ১৯৮০ দশকের মাঝামাঝি এক ব্যক্তিকে কোরআন শরিফ পাঠ করার কারণে ব’ন্দি করা হয়েছিল। ২০০০ সালের শুরুর দিকে তিনি আবারও আ’ট’ক হন। এবার অ’ভিযোগ ছিল, ওই ব্যক্তি স্ত্রী’কে পর্দা করার অনুমতি দিয়েছেন।

মানবাধিকার সংস্থাটির তথ্য মতে, আকসু তালিকায় প্রায় ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ২০০ জনেরও বেশি ব’ন্দির বি’রুদ্ধে সন্ত্রাস বা উগ্রবাদের অ’ভিযোগ আনা হয়েছে। তবে তাদের অ’প’রাধের বিষয়ে কোনও যু’ক্তিসঙ্গত তথ্যপ্রমাণ দেখায়নি চীনা কর্তৃপক্ষ।

জাতিসংঘের ধারণা, জিনজিয়াংয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় ব’ন্দিশি’বিরগুলোতে ১০ লাখেরও বেশি তুর্কি মু’সলিম আ’ট’ক রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই উইঘুর সম্প্রদায়ের। সমাজকর্মীদের মতে, তুর্কি মু’সলিম’দের জাতিগত ও ধ’র্মীয় পরিচয় সম্পূর্ণ মুছে ফেলতে এবং চীনা সরকারের ওপর বিশ্বস্ত রাখার লক্ষ্যেই পরিক’ল্পিতভাবে এ ব’ন্দিদশা সৃষ্টি করা হয়েছে। যদিও চীন বরাবরই এ অ’ভিযোগ অস্বীকার করেছে।