সব
চীনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ রয়েছে সংখ্যালঘু মুসলিমদের নির্যাতন করার। আর এবার জানা গেলো শুধুমাত্র নির্যাতন ই নয় মুসলিম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও বন্ধ করে দিচ্ছে চীন সরকার। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ তুলে এসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে চীন সরকার।
ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, কমিউনিস্ট শাসনে চীনে নিজেদের ধর্মবিশ্বাস, শিক্ষা বা সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ইসলাম ধর্মের প্রতি আস্থা রাখাটাই চীনা সরকারের কাছে পাপ হিসেবে ধরা হচ্ছে এবং দেশটির উত্তর-পশ্চিমের চিংহাই এবং গানসু এবং নিংজিয়া হুই স্বশাসিত এলাকা থেকে মুসলিম ধর্মচর্চা নির্মূল করাই এখন সিসিপির প্রধান লক্ষ্য।
চীনের মানবাধিকার ও ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক পত্রিকা ‘বিটার উইন্টার’-এ লি ওয়েংশেংয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনে মসজিদে মসজিদে নিয়মিত কোরআন পাঠ করা হতো এবং ছোটদের সামনে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন দিক, ধর্মীয় শিক্ষার দিক তুলে ধরা হতো। প্রায় প্রতিটি মসজিদউ একেকটা স্কুল ছিলো। কিন্তু চীন সরকারের দমননীতির ফলে এখন ধর্মশিক্ষার স্কুলও কমে আসছে।
চিংহাই প্রদেশের বছর ষাটের এক বৃদ্ধ বিটার উইন্টার-কে জানিয়েছেন গত নভেম্বরে তিনি বহু কিশোরকে স্কুল বন্ধ করে দেয়া মসজিদ থেকে লোটা-কম্বল নিয়ে বের হয়ে যেতে দেখেছেন। এসময় তিমি আরও জানান এসকল কারণে তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এমনকি তারা গোপনেও সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দিতে পারছেন না। কারণ প্রশাসন মসজিদে মসজিদে গোপন ক্যামেরা লাগিয়েও কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।