এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তার ছাড়াই ঘরে ঘরে দ্রুত বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে। নিউজিল্যান্ডে অলরেডি ট্রায়াল’ শুরু হয়েছে

| আপডেট :  ৩১ আগস্ট ২০২১, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৩১ আগস্ট ২০২১, ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বিজ্ঞান একুশ শতকে এসে এমন অনেক খোঁজ করেছে যা আমাদের বর্তমান জীবনে অনেক উপকার করছে। যেমন আগে আমরা ল্যান্ডলাইন ইউজ করতাম যে কারণে আমাদের প্রয়োজন হলেও সেই ফোন বাড়িতেই রাখতে হতো আর তার বিলও অনেক আসত। কিন্তু আজ আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছি। যখন যেখানে খুশি আমরা সেই ফোন নিয়ে যেতে পারি এমনকি বিলও আমাদের সাধ্যের মধ্যেই আসে।

আচ্ছা আমরা কি কখনো ভেবে ছিলাম ট্রেন বা বাসের যাত্রার সময় নিজেদের কাছের মানুষদের সাথে ফোনের মাধ্যমে কথা বলতে পারব? আজ দেখুন বিজ্ঞানের দৌলতে তা-ই সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ আমরা আপনাদের বিজ্ঞানের এক নতুন আবিষ্কারের বিষয়ে বলতে এসেছি। আচ্ছা তার আগে আপনি কল্পনা করুন তো একদিন সকালে উঠলেন আর দেখতে পেলেন আশেপাশে কোনো বৈদ্যুতিক পোল নেই। কি ভয় পেয়ে গেলেন ?

ভাবছেন তাহলে কিভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ হবে আর বিদ্যুৎ ছাড়া কিভাবে বাড়িতে জল পরিষেবা আসবে? আসলে আসলে বৈজ্ঞানিকরা এমন এক খোঁজ করেছেন যার দৌলতে আমরা বাড়িতে কোনরকম তার ছাড়াই বিদ্যুতের সাপ্লাই পাব। অবাক হচ্ছেন! তাহলে জেনে নিন বিস্তারিত। নিউজিল্যান্ডে এই টেকনিকের উপর কাজও শুরু হয়ে গেছে। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে এ বছরেই ট্রায়ালও শুরু হয়ে যেতে পারে। এই টেকনিকের উপর কাজ নিউজিল্যান্ড সরকার ও এমরোড নামের একটি কোম্পানির সহায়তায় হচ্ছে।

তার ছাড়া বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য নিউজিল্যান্ড সরকার একটি 130 ফুট এর জায়গায় ঠিক মোবাইলের টাওয়ার এর মত একটি টাওয়ার লাগিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করবে। এই জায়গায় প্রটোকল ওয়ারলেস এনার্জি ইনফ্রাস্ট্রাকচার এর ব্যবহার করা হবে। এমরোডের সংস্থাপক গ্রেগ কুর্নিশ এই টেকনিক সম্পর্কে জানান যে এর ব্যবহারে বিদ্যুৎ পরিষেবায় এক অভূত পরিবর্তন আসবে।

আপনাদের জানিয়ে রাখি এই ওয়ারলেস বিদ্যুৎ পরিষেবা সূচনা করেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী নিকোলা টেসলা। আজ থেকে 130 বছর আগে নিকোলা টেসলা এই পরিষেবার সূচনা করেন। এই পরিষেবার জন্য তিনি ‘টেসলা ফাইল’ নামে এক কম্পানি খোলেন। তারা এই কোম্পানিতে একটি সার্কিট এর উপর কাজ করেন। কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেন না যে এই টেকনিক এর সাহায্যে তারা অনেক দূর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাপ্লাই করতে পারবেন।

যদি এই টেকনিক শুরু হয়ে যায় তাহলে সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হবে। সবার প্রথমে এই সুবিধা হবে বিদ্যুতের যে তার রাস্তার ওপরে আছে সেগুলো সব সরিয়ে নেওয়া হবে আর প্রতিবছর এই বিদ্যুতের তারের কারণে যে পাখিদের মৃত্যু হয় তাও আর হবেনা। ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়া বা বিদ্যুতের খুঁটি উপরে যাওয়ার মতো ঘটনাও আর হবে না। আর বিদ্যুৎ চুরির মতো ঘটনাও ঘটবে না।।