হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর বংশধর ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট!

| আপডেট :  ২১ জুন ২০২১, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ জুন ২০২১, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ণ

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিশাল জয় পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ির বন্ধু ডানপন্থী বিচারক সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসি। মোট গৃহীত ভোটের অর্ধেকের বেশি পেয়ে ৫ বছরের জন্য ইরানের মসনদে বসছেন তিনি।

তবে এর আগে ২০১৭ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাসান রুহানির কাছে পরাজিত হয়েছিলেন রাইসি। এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন জরিপে আগামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার নাম উঠে আসে।

মূলত আহমেদিনিজাদের মতো শক্তিশালী প্রার্থীরা আগেই প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়ায় রাইসিই ছিলেন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। বর্তমান ইরানের প্রধান বিচারপতি এই ইব্রাহিম রাইসি। ৬০ বছর বয়সী রাইসি দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম।

ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ি এবং রাইসির জন্ম একই স্থানে, তথা দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। খামেনেয়ির মতো না হলেও দেশটির সংখ্যাগুরু শিয়া সম্প্রদায়ের কট্টরপন্থীমহলে তার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক।

খামেনেয়ির মতো রাইসিরও দাবি, বিশ্বনবী হযরত মুহম্মদের (সাঃ) বংশধর তিনি। বিশ্বনবীর রক্তসম্পর্কিত উত্তরাধিকার হওয়ার কারণে সবসময় কালো রঙের পাগড়ি পরেন তিনি।
কিন্তু ইরানের গণতন্ত্রপন্থী বলয়ে তার জনপ্রিয়তা বেশ কম। কারণ, আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় দেশটিতে তৎপর হয়ে উঠেছিলেন গণতন্ত্রপন্থীরা, যারা ক্ষমতাসীন ইসলামী কট্টরপন্থী সরকারের বিরোধী। যুদ্ধ শেষে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতার কারণে শত শত গণতন্ত্রপন্থীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তেহরানের রেভ্যুলুশনারি আদালত সংক্ষিপ্ত বিচারকাজের পরই তাদের অধিকাংশকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়।

সে সময় রেভ্যুলুশনারি আদালতের প্রধান বিচারক ছিলেন রাইসি। আর ওই বিচার প্রক্রিয়ার পরই খামেনেয়ির আস্থাভাজন হিসেবে উত্থান ঘটে তার। ২০১৯ সালে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্থা আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেশনের প্রধান হিসেবে রাইসিকে নিয়োগ দেন খামেনেয়ি।

ইরানের শিয়া মুসলিমদের কাছে পবিত্র তীর্থ বলে বিবেচিত ইমাম রেজার মাজারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দাতব্য কার্যক্রম ও দেশের অধিকাংশ কোম্পানি পরিচালনাও করে থাকে এই ফাউন্ডেশন। তিন বছর মোটামুটি সফলভাবে আস্তান কুদস রাজাভি ফাউন্ডেনের নেতৃত্ব দেয়ার পর ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান পদে নিয়োগ দেন খামেনেয়ি। এ পদে থাকার সময় দুর্নীতির বিরু’দ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেয়ায় দেশের অভ্যন্তরে জনপ্রিয়তা বেশ বাড়ে তার।