সব
ই’স’লা’ম ধ’র্ম গ্রহণের পর অটোমান ও ই’স’লা’মী শিল্পকলা নিয়ে কাজ করছেন রাশিয়ার চিত্রশিল্পী মা’রিয়া কোমিসা। সম্প্রতি মস্কোর মিউজিয়াম অব ওরিয়েন্টাল আর্ট-এ ‘লেটার অব দ্য ট্রাভেলার্স’ বা পর্যট’কের চিঠি নামে নিজের একক প্রদর্শনী শুরু করেন তিনি। রাশিয়ার শিল্পপ্রে’মীদের কাছে ই’স’লা’মী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে উদ্যোগ নেন তিনি।
তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রাচ্যের শিল্পকলার প্রতি নিজের প্রবল আগ্রহের কথা জানিয়ে মা’রিয়া বলেন, ই’স’লা’মী সংস্কৃতির জগতকে শৈশব থেকে গভীরভাবে উপলব্ধি করেন। তুর্কি ও ই’স’লা’মী সংস্কৃতির প্রতি তাঁর গভীর স’ম্প’র্ক শিল্পচর্চায় এগিয়ে যেতে প্রেরণা যোগায়। ক্রিমিয়ার বখছিসরাই থাকাকালে ই’স’লা’মের সঙ্গে আমা’র পরিচয়। একদিন আমাকে পবিত্র কোরআনের একটি কপি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমি ই’স’লা’ম ধ’র্ম গ্রহণ করি। ই’স’লা’ম ধ’র্ম গ্রহণের পর স্বামীকে নিয়ে তিনি তুরস্কের বুরসা নগরীতে পাড়ি জমান। এক সময় শহরটি অটোমান সম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।
মা’রিয়া আরও বলেন, তুরস্কে আমি অ’ত্যন্ত আনন্দঘন দিন অ’তিবাহিত করি। সেখানেই আমি তার্কিশ ভাষায় কথা বলা শুরু করি। তখনই আমি প্রথম বারের মতো হিজাব পরি। অথচ সেখানকার অনেকে বিশ্বা’স করতে চাইত না যে আমি একজন মস্কো বংশোদ্ভূত না’রী। অন্যান্য বিষয়ের মতো এখানকার স্থাপত্যরীতিতে আমি বেশ মুগ্ধ। বিশেষত এখানকার উলু ম’স’জিদের সৌন্দর্যে আমি খুবই মুগ্ধ।
এছাড়া ই’স’লা’মের সুফিবাদে বেশ প্রভাবিত বলে জানান রুশ নওমু’সলিম কোমিসা। তাছাড়া অটোমান বুদ্ধিজীবী ও ক্যালিগ্রাফার মাতরাকি নাসুহ দ্বারাও বেশ অনুপ্রা’ণিত বলে জানান তিনি। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি