হু হু করে ১৭ হাজার ফুট নেমে এল বিমান, সিট থেকে ছিটকে পড়লেন যাত্রীরা

| আপডেট :  ৮ জুন ২০২১, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৮ জুন ২০২১, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

বিমানের ওজন ৪০ টন। এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়ে খেলনার মতো ওলটপালট খেল সেই বিমান। যাত্রীরা অনেকেই প্রাণের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিমান ল্যান্ড করার পরে তাঁরা বলছেন, ভবিষ্যতে প্লেনে ওঠার আগে তাঁরা ১০ বার ভাববেন।

গত সোমবার ১১৩ জন যাত্রী নিয়ে মুম্বই থেকে কলকাতা আসছিল একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। ভিস্তারা এয়ারলাইন্সের ওই বিমান অবতরণের ১৫ মিনিট আগে বড় ধরনের এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়ে। যাত্রীরা অনেকে আসন থেকে ছিটকে পড়েন। আহত হন তিন যাত্রী।

বিমানবন্দরে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দু’জন কলকাতার দু’টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডিজিসিএ থেকে বলা হয়েছে, ৬১ বছর বয়সী এক মহিলা যাত্রীর ডান হাত ভেঙেছে। তাঁকে মিন্টো পার্কের কাছে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর একজনের শিরদাড়ায় আঘাত লেগেছে। তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকাল চারটে নাগাদ প্লেনটি ২০ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে উড়ছিল। চারটে বেজে তিন মিনিটে বিমানটি এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়ে। হু হু করে ১৭ হাজার ফুট নীচে নেমে আসে প্লেন। বিমানের যাত্রী শুভা দাস জানিয়েছেন, প্লেনে মধ্যে উথাল পাথাল চলেছিল মাত্র কয়েক মিনিট। কিন্তু যাত্রীদের মনে হচ্ছিল যেন অনন্তকাল ধরে তাঁরা ওই বিপদের মধ্যে আছেন। শুভা নিজে ঘাড়ে আঘাত পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাবা। তাঁর শিরদাড়ায় আঘাত লেগেছে।

অপর যে দুই যাত্রী গুরুতর আঘাত পেয়েছেন, তাঁদের নাম অনীতা আগরওয়াল ও সুদীপ রায়। কলকাতা বিমান বন্দরের ডিরেক্টর সি পট্টভি বলেন, “যাত্রীরা খুব জোর বেঁচে গিয়েছেন। প্লেনটি অবতরণ করে বিকাল চারটে বেজে ২৫ মিনিটে। তারপর বিমান বন্দরেই যাত্রীদের ফার্স্ট এইড দেওয়া হয়।”

অভিজ্ঞ বিমানচালকরা বলেছেন, বর্ষার আগে বিমান এয়ার টার্বুলেন্সের মধ্যে পড়ে। তবে আগে কখনও এতজন যাত্রী আহত হননি। গত রবিবারও এলোমেলো হাওয়ার জন্য কলকাতাগামী একটি বিমান রাঁচিতে নামতে বাধ্য হয়। সোমবার বিমানটি যখন এয়ার টার্বুলেন্সে পড়েছিল, তখনই সংশ্লিষ্ট বিমানের পাইলট এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তখন প্লেনটির প্রায়োরিটি ল্যান্ডিং-এর ব্যবস্থা করে।