করোনা আক্রান্ত শ্বশুরকে পিঠে করে হাসপাতালে নিলেন বউমা

| আপডেট :  ৬ জুন ২০২১, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ জুন ২০২১, ০৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশেই পুত্রবধূ এবং শ্বশুরবাড়ির সম্পর্ক অধিক সমস্যাপূর্ণ। শ্বশুরবাড়ি কর্তৃক পুত্রবধূ নির্যাতন যেমন নিত্য নৈমত্তিক ঘটনা, তেমনি পুত্রবধূ কর্তৃক শ্বশুর শাশুড়ির ওপর নির্যাতনের ঘটনাও কম নয়। তবে এসকল ঘটনার মাঝেই শ্বশুর আট পুত্রবধূর মধ্যকার সুসম্পর্কের এক অনন্য উদাহরণ করেছেন ভারতীয় নারী নীহারিকা।

গৃহবধূ নীহারিকার স্বামী সুরজ কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। এর মাঝেই করোনা আক্রান্ত হন নীহারিকা। একই সময়ে জ্বর ও করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন নীহারর শ্বশুরও। পাশাপাশি তিনি নিজেও করোনা রোগী।। ফলে ৭৫ বছর বয়সী শ্বশুর থুলেশ্বরের দেখভাল, সংসার সামলানো সবই করতে হয় পুত্রবধূ নীহারিকাকে।

এরই মধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় নীহারিকার শ্বশুরের। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মত ছিলেন না কেউ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনেকের কাছে সাহায্য চেয়ও সাহায্য পাননি নিহারিকা। বাধ্য হয়ে বৃদ্ধ শ্বশুরকে পিঠে চাপিয়ে হাসপাতালে রওনা দেন ভারতের আসামের এই নারী। আর নীহারিকা দাসের এই ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।

তবে হাসপাতালে নেয়ার পরও শ্বশুরের দায়িত্ব ছেড়ে দেন নি নীহারিকা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থুলেশ্বর ও নীহারিকাকে হোম আইসোলেশনে পাঠালে অসহায় শ্বশুরকে একা ছাড়তে রাজি হননি নীহারিকা। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসক সঙ্গীতা ধর দু’জনকেই অ্যাম্বুল্যান্সে ভোগেশ্বর ফুকনানি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সেখানেই জেনারেল ওয়ার্ড থেকে নিয়মিত আইসিইউতে গিয়ে শ্বশুরের সেবা করেন নীহারিকা।

আর এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আসামের অভিনেত্রী থেকে বিহার-মুম্বই-চেন্নাইয়ের বহু মানুষ কুর্নিশ জানাচ্ছেন নগাঁও জেলার নীহারিকাকে।