১৮ দিন পর বাড়ি ফিরে দেখেন নিজের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান চলছে

| আপডেট :  ৪ জুন ২০২১, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৪ জুন ২০২১, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বর্তমানে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিনই ভাইরাস্টিতে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে লাশ হস্তান্তর নিয়েও অনেক সময় ভুল করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আর সম্প্রতি এমনই একটই ঘটনা ঘটেছে যাননি। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশে। একজনের পরিবর্তে হস্তান্তর করা হয়েছিলো আরেকজনের লাশ। পরিবাআরের সদস্যরা সেই লাশকেই সৎকার করে আয়োজন করেছিলেন শ্রাদ্ধেরও। কিন্তু শ্রাদ্ধের দিনই ফিরে আসেন বৃদ্ধা।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১২ মে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার সরকারি একটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন জাগগাইয়াপেট গ্রামের বাসিন্দা গিরিজাম্মা। রোজই স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যেতেন স্বামী মুথিয়ালা গাড্ডায়া । কিন্তু গত ১৫ মে হাসপাতালে গিয়ে তিনি দেখেন, তার স্ত্রী কোভিড ওয়ার্ডে নেই। আশপাশের ওয়ার্ডে খুঁজেও মেলেনি সন্ধান। খোঁজ করতেই নার্সরা জানিয়ে দেন, ‘নিশ্চিত ভাবেই’ মারা গেছেন গিরিজাম্মা।

পরবর্তীতে হাসপাতালের মর্গ থেকে স্বামী মুথিয়ালার হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি প্লাস্টিকে বাঁধা মৃতদেহও। শোককাতর স্বামী গ্রামে ফিরে গিয়ে সেই মৃতদেহেরই সৎকার করেন। এদিকে ২৩ মে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ৩৫ বছরের ছেলেও। গত ১ জুন ছিল দু’জনেরই শ্রাদ্ধ তথা শোকসভার অনুষ্ঠান। সেখানেই ফিরে আসেন গিরিজাম্মা। তাকে দেখে বিস্মিত হয়ে যান গ্রামবাসী।

প্রতিবেদনে বলা হয় গিরিজাম্মা সুস্থ হয়ে ওঠার পরও যখন বাড়ির লোক নিতে আসেনি তখন হাসপাতালের পক্ষ থেকেই বাড়ি ফেরার জন্য তাকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। আর গিরিজাম্মা ফিরে আসার পরই সকলে বুঝতে পারেন ভুলটা।