ই’সরাইলকে অবাক করে দিয়েছে হা’মাস

| আপডেট :  ২৯ মে ২০২১, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৯ মে ২০২১, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ণ

অ’স্ত্রবিরতির মধ্য দিয়ে গাজা উপত্যকায় ই’সরাইল ও হা’মাসের মধ্যকার ১১ দিনের যু’দ্ধ শেষ হয়েছে। এই যু’দ্ধে ইসরাইল ও হা’মাস একে অপরের সা’মরিক সক্ষমতায় বি’স্মিত হয়েছে। ইসরাইল খুবই

দক্ষ’তার সাথে গাজার বড় বড় ভবন, টানেল ধ্বং’স করেছে। জবাবে হা’মাস অনেক জ’টিল ও বিরতিহীনভাবে রকেট নি’ক্ষেপ করেছে। ই’সরাইল ও হা’মাসের মধ্যকার লড়াইটি কেবল সা’মরিক যু’দ্ধই ছিল না, এটি একইসাথে ছিল মনোস্তাত্ত্বিক প্রতিদ্ব’ন্দ্বিতা। উভ’য় পক্ষই ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক জনমতকে প্রভাবিত করার জন্য মিডিয়া ও সামাজিক নেটওয়ার্কগুলোও ব্যবহার করেছে।

১১ দিনের যু’দ্ধের সময় হা’মাস ৪,৩৬০টি রকেট নি’ক্ষেপ করেছে। তেল আবিবের মতো ই’সরাইলের সুরক্ষিত নগরীতে যেমন এসব রকেট আ’ঘাত হেনেছে, আবার ই’সরাইলের গ্রাম এলাকাতেও এগুলো নি’ক্ষি’প্ত হয়েছে। হামাসের রকেট হা’মলায় ই’সরাইলের ১২ জন নি’হত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ই’সরাইলি সৈ’ন্য, ১১ জন বেসা’মরিক নাগরিক।

রকেট হা’মলার মাধ্যমে হামাস ই’সরাইলের ২৫ ভাগ লোককে যু’দ্ধের স্বাদ দিতে পেরেছে, তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে লু’কিয়ে পড়তে বা’ধ্য করতে পেরেছে। ই’সরাইলের সা’মরিক শ্রেষ্ঠত্ব সত্ত্বেও হা’মাস তাদের দৃঢ়তা, স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করে লড়াই অব্যাহত রাখতে পেরেছে। তারা তাদের রকেট ভাণ্ডারকে দারুণভাবে ও বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহারও করতে পেরেছে।

ই’সরাইলের আয়রন ডোমকে বিভ্রান্ত করতে হামাস তাদের রকে’টের মান ও উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার অনেক উন্নত করেছে। তারা একসাথে অনেক রকেট নি’ক্ষেপ করায় সবগুলো আয়রন ডোমের পক্ষে ভূ’পাতিত করা সম্ভব হয়নি।ই’সরাইল তাদের গো’য়েন্দাদের নিয়োজিত রেখেছিল হা’মাসের রকেট ও অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বং’স করার কাজে। কিন্তু হা’মাস ই’সরাইলের সা’মরিক ও গো’য়েন্দাদের হাত থেকে তাদের অ’স্ত্র ভাণ্ডার সুরক্ষিত রাখতে পেরেছে। এটা কত কৃতিত্বের বি’ষয় নয়।

অবশ্য, মোসাদ কিন্তু কম ক্ষ’তিও করেনি। তিউনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় এসব অ’স্ত্র নিয়ে ক’ঠোর পরিশ্রমে নিয়োজিত ফিলিস্তিনি ইঞ্জিনিয়ারদের অনেককে মো’সাদ হ’ ‘ত্যা করেছে।
কিন্তু তবুও হামাস থামেনি। কিছু কিছু র’কেট তারা মিসর ও সিনাই দিয়ে লিবিয়া থেকে এনেছে। সুদান হয়ে ইরান থেকেও কিছু এসেছে। তবে বেশির ভাগ রকেট তারা নিজেরা স্থানীয়ভাবে তৈরী করেছে। এগুলো হলো গা’জার হা’মাস ও ই’সলামিক জি’হাদের ইঞ্জিনিয়ারদের পরিশ্রমের ফসল। এসব ইঞ্জিনিয়ারের অনেকে বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। তারা ইরান ও হি’জবুল্লাহর পরামর্শ ও সহায়তায় তাদের মান উন্নত করেছেন।

কৌশলগত পর্যায়ে হা’মাস এখন ফি’লিস্তিনি জনগণের কাছে তাদের অবস্থান উন্নত করতে পেরেছে। তারা যৌক্তিকভাবেই এখন জেরুসালেম ও আল আকসা ম’সজিদের অভিভাবক হিসেবে দাবি করতে পারে। দুর্বল ফি’লিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বিপরীতে তারা অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে পেরেছে।

ই’সরাইলের আ’ঘাত
এই যু’দ্ধে ই’সরাইলও কম ক্ষ’তি করেনি হা’মাসের। তারা গা’জায় তাদের উন্নত অ’স্ত্রের ভালোই প্রদর্শনী করেছে। অন্তত ২৫০ জন ফি’লিস্তিনিকে তারা হ’ ‘ত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৪০ ভাগ না’রী ও শি’শু।
তাছাড়া হা’মাসের নৌসক্ষমতা ও ‘বিমানবাহিনীও’ অকার্যকর করে ফেলতে পেরেছে। উল্লেখ্য, আ’ত্মঘা’তী ড্রো’ন, গ্লাইডার ও বি’স্ফোরকবোঝাই প্যাসাস্যুট নিয়ে হামাসের এই বি’মানবাহিনী গঠিত। ইসরাইলি হা’মলায় এই বা’হিনী বেশ দু’র্বল হয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাছাড়া হামাসের বিপুলসংখ্যক রকেট তারা নি’ক্ষেপের আগেই ধ্বং’স করেছে। আর আয়রন ডোমের মাধ্যমে ৯০ ভাগ রকেট অকার্যকর করে ফেলতে পেরেছে। সূত্র : মিডলইস্ট আই