শক্তিশালী হামাসের উত্থানের নেপথ্যে ও তাদের কার্যক্রম!

| আপডেট :  ২৮ মে ২০২১, ০২:২৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৮ মে ২০২১, ০২:২৩ অপরাহ্ণ

১৯৮০-এর দশকে ইয়াসির আরাফাতের পেলেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) এর বি’রোধিতায় হামাসের জন্ম। পিএলও’র বি’রোধী শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে শুরুর দিকে ই’সরায়েল স’রকার হামাসকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিল বলে অনেকক্ষেত্রে দাবি করা হয়। তবে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠায় এমন কোনো ধরনের ভূমিকার কথা বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে সংশ্লিষ্টরা।

পিএলও’র মতো হামাস ই’সরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারে বিশ্বাস করে না। তাদের প্রতীকে রয়েছে জেরুজালেমের ‘ডোম অব দ্য রক’। ই’সরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরকে একক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হিসেবে তারা বিবেচনা করে।

১৯৯৩ সালে ইয়াসির আরাফাত অসলো চুক্তির অধীনে ই’সরায়েলের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করেন, যার মধ্য দিয়ে ১৯৮৭ সালে শুরু হওয়া প্রথম ইন্তিফাদার অবসান হয়। হামাস এই শান্তি প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করে ই’সরায়েলে হা’মলা অব্যাহত রাখে।

২০০৬ সালের গাজার সাধারণ নির্বাচনে হামাস পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এরপর থেকে মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে ফাতাহ-এর অধীনে রয়েছে পশ্চিম তীর আর গাজার নিয়ন্ত্রণ হামাসের হাতে। ২০০৮-০৯, ২০১২ ও ২০১৪ সালে ই’সরায়েলি সে’নার সঙ্গে হামাসের তুমুল লড়াই চলে।

১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে স’ন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করে। ২০০৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নও তাদেরকে স’ন্ত্রাসী তালিকায় রাখে। হামাস এই বি’ষয়ে আ’দালতে চ্যালেঞ্জ করে। তবে আ’দালত তাদের আবেদন বাতিল করে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াও হামাসকে স’ন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করেছে।

হামাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগী কাতার। দেশটির আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি প্রথম রাষ্ট্রনেতা, যিনি ২০১২ সালে হামাস স’রকারের সঙ্গে দেখা করেন। এখন পর্যন্ত দেশটি হামাসকে ১৮০ কোটি ডলার দিয়েছে।

হামাসের প্রতি তুরস্কেরও সমর্থন রয়েছে। সংগঠনটির নেতা ইসমাইল হানিয়ের পক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান রয়েছে তুর্কি প্রে’সিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোগানের। এছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোগ ও ফাউন্ডেশনের সহযোগিতাও পায় তারা

সবশেষ সং’ঘাতেও ই’সরায়েলের উদ্দেশে প্রতিদিন শতাধিক রকেট ছুঁড়েছে হামাস। দীর্ঘদিন হামাস রকে’টের জন্য ইরানের উপর নির্ভরশীল ছিল। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুদান ও মিশর হয়ে সেখান থেকে অ’স্ত্র চোরাচালান হতো। তবে বর্তমানে গাজাতেই হামাস রকেট বানাচ্ছে বলেও ধারণা করা হয়।

মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে চাকরি হারানোর পর হ্যান্ড মাইক হাতে আবার আলোচনায় সেই এএসআই!
হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে বক্তব্য দেওয়া কুষ্টিয়া পুলিশের সেই সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম রাব্বানীকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল গোলাম রাব্বানীকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৩ মে চাকরিচ্যুতির পর ২৬ মে বিকালে গোলাম রাব্বানী শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়স্থ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সামনে হ্যান্ড মাইক হাতে নিয়ে চরম ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নানা ধরনের বক্তব্য দেন।

৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে গোলাম রাব্বানী জনগণকে উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আল্লাহ তোমার জন্য যথেষ্ট। কোরআন হাতে নেন। র‌্যাব-পুলিশ সব দৌড় মারবে। র‌্যাব-পুলিশ, এসপি কাউকে দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রকৃত মুসলিম কাউকে ভয় পায় না। জানমাল, ইজ্জত, ধর্ম, স্ত্রী, পুত্র-সন্তান সব বিসর্জন দেব আল্লাহর জন্য।

তিনি আরো বলেন, চোরকে চোর বলা পুলিশের দায়িত্ব। ডাকাতকে ডাকাত বলা পুলিশের দায়িত্ব। আলেমকে আলেম বলাও পুলিশের দায়িত্ব। রবের পক্ষ থেকে কোরআন নাজিল হয়েছে। সবাইকে কোরআন মানতে হবে। পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জীবন দিয়া যাব। প্রকাশ্যে গুলি করবে? গুলি লাগা। বহুত গু’লি ফুঁ’টাইছি আমি। অ’স্ত্রকে মুসলমান ভয় পায়না।’

গত গত ৩ এপ্রিল ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফেসবুকে লাইভে বলেন, ‘মামুনুল হক হুজুরের একটি ভিডিও দেখলাম । ওই ভিডিওতে দেখা গেছে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে একটা রিসোর্টে গেছেন। আমার প্রশ্ন হলো, যে অধিকাংশ সাংবাদিকরা তার কাবিননামা দেখতে চাচ্ছে। আপনাকে এই অধিকার কে দিয়েছে?

আপনি যে কাবিননামা দেখবেন আপনাকে এই অধিকার কি রাষ্ট্র দিয়েছে? কোন সাংবাদিকদের যদি জানা থাকে এই ধরণের আইনসঙ্গত বিষয় তবে আমাকে জানান। আমি তো পুলিশে চাকরি করি। আমার এটা জানা নেই’। তার লাইভটি ভাইরাল হওয়ার পর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে গত ৪ এপ্রিল এএসআই গোলাম রাব্বানীকে সাম’য়িক বরখাস্ত করে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

গোলাম রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকায় বাসা ভাড়া থাকেন। তিনি কুষ্টিয়ার ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত ছিলেন। পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. মুহিদ উদ্দিনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে দোষী প্রমাণিত হন রাব্বানী।

কুষ্টিয়ার পুলিশ মোঃ খাইরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রকাশ্যে হান্ড মাইকে বক্তব্য প্রদানের পর চাকুরিচ্যুত গোলাম রাব্বানীকে থানায় নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজন তাকে দিনাজপুরে নিয়ে চলে যান।