ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে পার্লামেন্টে আইরিশ এমপিরা

| আপডেট :  ২৭ মে ২০২১, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ মে ২০২১, ০৭:৩৯ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনের ও’পর ই’সরায়েলের হা’মলার প্র’তিবাদে আয়ারল্যান্ডের বি’রোধীদল শিনফেন সংশোধনী প্রস্তাব এনেছে পার্লামেন্টে। এটি পাস হলে ব’হিষ্কার হবেন ই’সরায়েলি রাষ্ট্রদূত। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবেও নি’ষেধাজ্ঞা আরোপ হবে ইসরাইলের ও’পর।

বিশ্বে শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে আয়ারল্যান্ডের রয়েছে ব্যাপক পরিচিতি। ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে যে কোনো দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে আইরিশরা তাদের সৌহার্দের হাত বাড়িয়ে দেন সবসময়। ফিলিস্তিনের ও’পর আন্তর্জাতিক আইন ল’ঙ্ঘন করে ইসরাইলের ভূমি দ’খল থেকে হা’মলা সবকিছুরই আয়ারল্যান্ড প্র’তিবাদ করে আসছে।

সবশেষ ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনী ১১দিনে যে ব’র্বর হা’মলা চা’লিয়েছে তার প্র’তিবাদ জানিয়ে আইরিশ পার্লামেন্টে বি’রোধীদল শিনফেন একটি নি’ন্দা প্রস্তাব এনেছে। আর তাতে সমর্থন দিয়েছে আইরিশ স’রকার। পাশাপাশি একটি সংশোধনীর প্রস্তাবও আনা হয়। এটি পাস হলে ই’সরায়েলের রাষ্ট্রদূত বহিস্কারসহ নি’ষেধাজ্ঞা থাকবে দেশটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে। এরমধ্যেই দেশটির বিভিন্ন কাউন্টিতে ই’সরায়েলবি’রোধী বি’ক্ষো’ভে আইরিশদের সঙ্গে অংশ নেন অনেক বাংলাদেশিও।

আইরিশ পার্লামেন্টে ই’সরায়েলের বিপক্ষে জো’রালো ভূমিকা নেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।সং’সদ চলাকালে অনেক সং’সদ সদস্য ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে ফিলিস্তিনের পতাকা সংবলিত মাস্ক পরিধান করেন।

আইরিশ পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনে ই’সরায়েলি আগ্রাসনের বি’রুদ্ধে যেভাবে প্র’তিবাদ হয়েছে, পৃথিবীর অনেক রাষ্ট্র থেকে যদি এভাবে প্র’তিবাদের ঝড় উঠতো তাহলে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজ আরও এগিয়ে যেত। যার সুফল পেত ফিলিস্তিনের নাগরিকরা, আর সেই শান্তির বার্তা ছড়িয়ে পরতো পুরো বিশ্বে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এই প্রথম কোনো দেশ ই’সরায়েলের বি’রুদ্ধে এই পরিভাষা ব্যবহার করেছে। রয়টার্স, আলজাজিরা ও গার্ডিয়ান এই খবর দিয়েছে।মঙ্গলবার (২৬ মে) আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন কোভিনি বলেন, বি’রোধীদল সিন ফেইন এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করছে। এটির মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন নিয়ে আয়ারল্যান্ডজুড়ে গভীর অনুভূতির পরিষ্কার হয়ে উঠেছে।

মধ্য-ডানপন্থী ফিন গায়েল পার্টির নেতা সিমন বলেন, ই’সরায়েলের অ’বৈধ বসতি স্থাপনের মাত্রা, গতি ও কৌশলের ধরন এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য আমাদের এই সিদ্ধান্তে নিয়ে এসেছে যে, সেখানে যা ঘটছে, তা নিয়ে আমাদের সৎ থাকতে হবে। এর মধ্য দিয়ে ই’সরায়েল মূলত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে একীভূত করে নিয়েছে।

তিনি বলেন, এটি এমন কিছু না, যা আমি হালকাভাবে বলছি। ইউরোপের প্রথম কোনো দেশ হিসেবে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। ই’সরায়েলি পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ও তার প্রভাব নিয়ে আমাদের গভীর উ’দ্বেগেরই প্রতিফলন এই প্রস্তাব।

১৯৬৭ সালের অধিকৃত ভূমিতে ই’সরায়েলি বসতিকে অ’বৈধ হিসেবে দেখছে অধিকাংশ দেশ। ফিলিস্তিনে শান্তি স্থাপনের যা প্রধান অন্তরায়। প্রস্তাব উত্থাপনের সময় পার্লামেন্টের অনেক সদস্যকে ই’সরায়েলি পতাকা ও কুফিয়ার আদলে ফেস মাস্ক পরতে দেখা গেছে।

গত অর্ধশত বছর ধরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড অব্যাহত দ’খল করলেও সম্প্রতি তা একীভূতকরণ ও নিজেদের বলে দাবি করে আসছে ই’সরায়েলি কর্মকর্তারা।