ই’সরায়েলকে টিকিয়ে রাখতে গা’জা পুনর্গঠনের নামে মা’র্কিনীদের নতুন ষ’ড়য’ন্ত্র

| আপডেট :  ২৭ মে ২০২১, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৭ মে ২০২১, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

গাজায় ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ যো’দ্ধাদের সঙ্গে দ’খলদার ই’সরায়েলের যু’দ্ধ বিরতি ঘোষণার চারদিন পর মা’র্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিংকেন গতকাল ইসরাইল সফরে এসেছেন। তেলআবিব পৌঁছে তিনি ই’সরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এরপর তিনি ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রে’সিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য রামাল্লা গেছেন। মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি প্রথমে মিশর এরপর জর্দান সফরে যাবেন বলে কথা রয়েছে।

মা’র্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেছেন, চলমান যু’দ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা এবং গাজা পুনর্গঠনের বি’ষয়ে আলোচনা করাই তার এই সফরের লক্ষ্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে মা’র্কিন কর্মকর্তারা আসলে গাজা পুনর্গঠনের কথা বলে ফিলিস্তিনিদের বি’রুদ্ধে ই’সরায়েল-মা’র্কিন ষ’ড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। কেননা সম্প্রতি ১২ দিনের যু’দ্ধে দ’খলদার ই’সরায়েল শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ার পর তারা আ’তঙ্কিত হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে পাশ্চাত্যের কর্মকর্তারা যু’দ্ধবিরতি টিকিয়ে রাখা এবং আবারো যাতে সং’ঘাত শুরু না হয় সেজন্য তারা মধ্যপ্রাচ্য সফর শুরু করেছেন। ই’সরায়েল ও তাদের পাশ্চাত্য মিত্ররা গো’পন লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য মিশর ও জর্দানের উপর প্রচণ্ড চা’প সৃষ্টি করেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে ফিলিস্তিন স’মস্যা সমাধানে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক পরিকল্পনার কথা বলে মা’র্কিন স’রকার আসলে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠনগুলোকে এ ক্ষেত্রে বড় বা’ধা হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে এবং এ অজুহাতে তারা এই সংগঠনগুলোর উপর চা’প সৃষ্টির চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের জনগণকেও গাজার হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর বি’রুদ্ধে উ’স্কানি দেয়ার চেষ্টা করছে।

মা’র্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ই’সরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা পুনর্গঠনের ও’পর জো’র দিয়েছেন যদিও গাজায় ধ্বং’সযজ্ঞের জন্য ই’সরায়েলই দায়ী। নেতানিয়াহু গাজা পুনর্গঠনে সহযোগিতার জন্য কিছু শর্ত বেঁ’ধে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে এবং তাদের হাতে আ’টক চার ই’সরায়েলিকে ছেড়ে দিতে হবে।

এদিকে, ফিলিস্তিনিদের জনমত স্বশাসন কর্তৃপক্ষের বি’রুদ্ধে চলে যাওয়ায় দ’খলদার ই’সরায়েল ও তার মিত্ররা আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আরো বেশি চিন্তিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক যু’দ্ধে ই’সরায়েল পরাজিত হয় জনমত আরো বেশি প্রতিরোধ সংগঠনগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়েছে যা ই’সরায়েলের জন্য খুবই চিন্তার বি’ষয়। এ কারণে ইসরাইলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মা’র্কিন কর্মকর্তারা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। সূত্রঃ পার্সটুডে