দ’খলদ্বার ই’সরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ব’হিষ্কার করবে আয়ারল্যান্ড, আরোপ হতে পারে নি’ষেধাজ্ঞা!

| আপডেট :  ২৬ মে ২০২১, ০৭:২৬ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ মে ২০২১, ০৬:৫৪ অপরাহ্ণ

ই’সরায়েলের অ’বৈধ বসতি স্থাপনকে ফিলিস্তিনি ভূমির দ’খল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে আয়ারল্যান্ড স’রকার। এ নিয়ে আইরিশ পার্লামেন্টে উত্থাপিত প্রস্তাবটি পাস হলে দেশটি থেকে ই’সরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ব’হিষ্কার করা হতে পারে, এমনকি অ’বরোধও আরোপ করা হতে পারে। ই’সরায়েলের বি’রুদ্ধে কোনো ইউরোপিয়ান দেশের এ ধরনের প্রস্তাব এটাই প্রথম। আইরিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন কভনি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, বি’রোধী সিন ফেইন প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে। আর প্রস্তাবটির প্রতি পুরো আয়ারল্যান্ডের গভীর অনুভূতি রয়েছে।

মধ্য-ডানপন্থী ফিন গেল পার্টির সদস্য কোভনি পার্লামেন্টে বলেন, ই’সরায়েল যে গতিতে, মাত্রায় ও কৌশলে বসতি সম্প্রসারণ করছে, তাতে করে বাস্তবে কী ঘটছে, সে ব্যাপারে আমাদের সৎ থাকতে হবে। এটা আসলে কার্যত দ’খলদারিত্ব। তিনি বলেন, বি’ষয়টি আমরা সহজভাবে নিতে পারছি না। আমরা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে তা করতে চাচ্ছি। আমরা কিছু করার জন্যই এ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছি। সিন ফেইনের পররাষ্ট্রবি’ষয়ক মুখপাত্র জন ব্র্যাডলি পার্লামেন্টে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছেন।
তিনি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। আরো কয়েকটি দল প্রস্তাবটি সমর্থন করেছে।

প্রস্তাবটি পাস হলে আইরিশ স’রকারকে সে দেশে আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত ই’সরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ব’হিষ্কার করতে হবে। এছাড়া ই’সরায়েলের বি’রুদ্ধে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অ’বরোধ আরোপ করতে হবে। বেশির ভাগ দেশই ১৯৬৭ সালের যু’দ্ধে দ’খল করা জায়গায় ই’সরায়েলি বসতি স্থাপনকে অ’বৈধ মনে করে। তাদের মতে, এসব কাজ ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনে বা’ধা। কোভনি বলেন, প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হতে পারে যদি তাতে গাজা থেকে ই’সরায়েলে সাম্প্রতিক নি’ক্ষেপ করা রকে’টের নি’ন্দা করা হয়। কিন্তু বাম-ঘেঁষা সিন ফেইন দল হামাসের হা’মলাকে নি’ন্দা করে আনা স’রকারি সংশোধনী প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

ব্র্যাডলি বলেন, গত জানুয়ারি থেকে ই’সরায়েল আরো ২,৫০০ বসতিকে অনুমোদন করেছ। এসবের মধ্যে ৪৬০টি পূর্ব জেরুসালেমে। অর্গ্যানাইজেশন পিস নাও ২০২০ সালে জানিয়েছিল, ই’সরায়েল ১২ হাজার বসতি ইউনিটের অনুমোদন দিয়েছে বা তা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। ২০১২ সালের পর এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।

ই’সরায়েল ও হামাসের মধ্য ১১ দিনের যু’দ্ধের পর অ’স্ত্রবিরতির পর আয়ার‌ল্যান্ডে এই প্রস্তাব উত্থাপিত হলো। ই’সরায়েলি হা’মলায় গাজায় অন্তত ২৫৩ ফিলিস্তিনি নি’হত হয়। এদের মধ্যে ৬৬ জন শি’শু। আর ই’সরায়েলে নি’হত হয়েছে অন্তত ১২ জন।
সূত্র : আল জাজিরা, গার্ডিয়ান।