গির্জায় হচ্ছে আজান, চলছে ইফতার

| আপডেট :  ৬ মে ২০২১, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ৬ মে ২০২১, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বজুড়েই রয়েছে সাম্প্রদায়িকতার অস্তিত্ব। প্রতিটি ধর্মের রয়েছে নিজ নিজ উপসানালয় যেখানে ওই ধর্মের লোকজন নিজেদের রীতি অনুযায়ী স্রষ্টাট উপাসনা করে। আর এসকল ধর্মীয় উপাসনলয়ের মধ্যে গির্জায় আমরা সাধারণত খ্রিস্টানদের ইবাদত করতে দেখে থাকি। তবে সম্প্রতি ঘটেছে ব্যতিক্রমী ঘটনা।

গীর্জায় খ্রিস্টানদের রীতি অনুযায়ী ধর্মীয় উপাসনার পরিবর্তে মুসলিম রীতি অনুযায়ী দেয়া হচ্ছে আজান, আয়োজন করা হচ্ছে ইফতারের। ঘটনাটি ঘটেছে স্পেনের বার্সেলোনায়। সেখানে ইফতারে একসঙ্গে দেখা মিলছে মুসলিম ও খ্রিস্টান দুই ধর্মের মানুষেরই। খ্রিস্টানরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে, বড় পরিসরে, বিনামূল্যে ইফতারের জন্য, উন্মুক্ত করে দিয়েছেন তাদের গির্জা। আর এতেই গড়ে উঠেছে ধর্মীয় সম্প্রীতি।

এ বিষয়ে আগত মুসল্লিরা বলেন, মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টিই হচ্ছে পবিত্র ধর্ম ইসলামের বৈশিষ্ট্য। আমি মুসলিম তিনি ক্যাথলিক খ্রিস্টান, এটা বড় পরিচয় নয়। বড় পরিচয় হলো আমরা মানুষ। রমজান আমাদের সংযমের শিক্ষা দেয়। আমরা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছি কিনা সেটাই বড় কথা। মসজিদ আল্লাহর ঘর। খ্রিস্টানরা মনে করেন, গির্জাও স্রষ্টার ঘর। তাই তারা মুসলিমদের এ সুযোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সান্তা আন্না গির্জার ফাদার পিও সানচেজ বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে একসঙ্গে অনেক মানুষ সমবেত হতে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। নির্দিষ্ট বড় জায়গার অভাবে মুসলিমরা এক হতে পারছিলেন না। তাই গির্জায় বেশি মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন একসঙ্গে ইফতার করতে পারেন এ-জন্যই এটি খুলে দেয়া হয়েছে,

এসময় তিনি আরও বলেন, ভিন্ন ধর্মের, ভিন্ন ভাষার রাজনীতিবিদরা যদি এক হয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারেন তাহলে আমরাও পারি। আমরা সম্প্রীতির সেই নিদর্শন সৃষ্টি করলাম।