আজান শুনে আত্মিক শান্তি অনুভব করতাম : ইসলাম গ্রহণের পর পর্তুগিজ ফুটবলার

| আপডেট :  ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০৬:১৫ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৬ এপ্রিল ২০২২, ০৬:১৫ অপরাহ্ণ

পর্তুগালের সাবেক ফুটবলার আবেল জাভিয়ার। এক বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে (২০০২-২০০৩ মৌসুম) তিনি তুরস্কের গালাতাসারায় ফুটবল ক্লাবে খেলেছেন। পরে ২০১০ সালে ৩৭ বছর বয়সে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। কিন্তু তার ইসলাম গ্রহণে মূল প্রভাবক কী এবং কেনই বা তিনি নিজের বাপ-দাদার খ্রিস্টধর্ম ছেড়ে মুসলিম হলেন, গত শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিতভাবে তা জানালেন।

আবেল জাভিয়ার বলেন, ‘তুরস্কে থাকাকালীন দৈনিক অন্তত পাঁচবার আজানের ধ্বনি কানে ভেসে আসতো। সেই সুমধুর ধ্বনি শ্রবণ করে আমি আত্মিক শান্তি অনুভব করতাম। একইসাথে নিজেকে নিরাপদ মনে হতো। যদিও আমি আরবি ভাষা বুঝতাম না।’

তার মতে- ইসলামের কল্যাণেই তিনি নিজেকে পুনরায় আবিষ্কার করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, ‘ইসলামকে জানা ও বোঝার সবথেকে বড় কৃতিত্ব তুর্কি ক্লাবে কাটানোর সময়টা। তুরস্কে থাকাটা ইসলামের সাথে পরিচয় ও ইসলামকে জানা-বোঝার জন্য আমার জন্য ছিল নেয়ামত।’

আবেল জাভিয়ার বলেন, ‘ইস্তাম্বুলে কাটানো দিনগুলো ইসলাম সম্পর্কে আমার আগের ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। পরে এটিই ইসলাম গ্রহণে আমার জন্য বড় প্রভাবক হয়েছে। তখন-ই আমি বিস্তরভাবে ইসলামের পরিচয় পাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘তখন-ই আমি জানতে পারি ইসলাম প্রকৃতপক্ষে শান্তির ধর্ম। ইসলামে আমি বাস্তবিক স্বাধীনতা ও প্রশান্তি অনুভব করি।’
আবেল জাভিয়ার জানান, তিনি বহু দেশ মাড়িয়েছেন, বহু কিছু দেখেছেন কিন্তু নিজেকে নতুনভাবে চিনতে পেরেছেন ইসলামের বদৌলতেই।

কে এই আবেল জাভিয়ার?
আবেল জাভিয়ার জন্মগ্রহণ করেন মোজাম্বিকের নামপুলা শহরে। পরে বাবা-মার সাথে পর্তুগালে চলে আসেন। ১৯৮৬ সালে দেশটির স্পোর্টিং সিপি ক্লাবে ভর্তি হন। এখানে দুই বছর ছিলেন।

পরে ১৯৯৩ সালে পর্তুগালের শীর্ষ ক্লাব এস এল বেনফিকায় নাম লেখান। পরে একেক করে নেদারল্যান্ড, ইংল্যান্ড, তুরস্ক ও ইতালির বড় বড় ক্লাবে খেলার সুযোগ পান। ২০১০ সালে খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানেন আবেল জাভিয়ার। পরে অল্প কিছু দিনের জন্য মোজাম্বিক জাতীয় ফুটবল দলের কোচের দায়িত্বও পালন করেন। -আনাদোলু, তুর্কি প্রেস ও টিআর অবলম্বনে বেলায়েত হুসাইন