ওবায়দুল কাদেরের কথায় আমরা বিনোদন পাই : ফখরুল

| আপডেট :  ১৩ মার্চ ২০২১, ১০:০২ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ১৩ মার্চ ২০২১, ১০:০২ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির মহাস’চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আপনারা জানেন, বিএনপি আছে, খুব ভালো করে আছে এবং আপনাদের ও’পর চড়াও হয়ে বসেছে বলেই প্রতিদিন বিএনপি নিয়ে কথা বলেন। তার কথায় আমরা সবাই একটু বিনোদন পাই, কৌতুকবোধ করি। তার কথা বলার ভঙ্গি খুব সুন্দর।

তার বসে থাকার ভঙ্গি খুব সুন্দর, তিনি যে আসনে বসে কথা বলেন সেটাও খুব সুন্দর। তিনি দেখতে অত্যন্ত সুদর্শন মানুষ। চমৎকার কটি পরে, তার ও’পরে নোকা মার্কার পিন পরেন। সেটা কিসের আমরা জানি না। পত্রপত্রিকায় বের হয়েছে তার ঘড়িগুলো নাকি এক একটি ৩৬ লাখ, ৫২ লাখ, ১ কোটি এ রকম দামের।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত স্বেচ্ছায় র’ক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ও’ষুধ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদের গতকালও বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে কটাক্ষ করেছেন। কিন্তু প্রত্যেকদিন বিএনপিকে নিয়েই কথা বলেন। অন্যদিকে বলেন বিএনপি নেই। তাহলে প্রতিদিন বিএনপি সম্পর্কে কথা কেন বলেন? কারণ আপনারা জানেন, বিএনপি আছে, খুব ভালো করে আছে এবং আপনাদের ও’পর চড়াও হয়ে বসেছেন বলেই প্রতিদিন বিএনপি নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনাদের তো লজ্জা হওয়া উচিত। বিশেষ করে আমাদের সাধারণ সম্পাদক সাহেবের। আপনার এলাকা বসুরহাট, আপনার এলাকা নোয়াখালী সেখানে কি হচ্ছে? আজকে পত্রিকায় আসছে, সেখানে একজন সাংবাদিকসহ যে দুজন খু’ন হয়েছে তাদের মধ্যে মৃ’ত শ্র’মিকের ভাই মা’মলা করেত গিয়েছিল কিন্তু পুলিশ তার মা’মলা নেয়নি। কাদের মির্জার বিপক্ষে মা’মলা নেয়নি।

কারণ তিনিতো শুধু কাদের মির্জা নয়, তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর মানুষ ওবায়দুল কাদের সাহেবের ভাই। কোথায় বিচার, কোথায় ন্যায়ের শাসন? তাই আমি বলেছি, বিএনপির সমালোচনা করার আগে আপনারা আপনাদের নিজের ঘর সামলান। প্রতিদিন যে মা’রামারি-লড়ালড়ি তা সামলান।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই জনগণের বন্ধু ছিল না। আমার দুঃখ হয়, যে আওয়ামী লীগ পাকিস্তান আমলে দেখেছি আমাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণতন্ত্রের সংগ্রাম করেছেন। আজকে আমাদের এখানে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব উপস্থিত আছেন। তিনি ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন, ভিপি ছিলেন। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের যে ভূমিকা আজকে তিনিও সেখানে থাকতে পারেননি। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগের চরিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আজ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফারহাদ হালিম ডোনার সভাপতিত্বে ও ড্যাবর সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুবদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, ড্যাবের মহাস’চিব অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ট্রেজারার অধ্যাপক শাকিল প্রমুখ। সূত্রঃ কালের কন্ঠ