পু’রুষের যেসব গুনে না’রীরা দু’র্বল হয়ে যায়

| আপডেট :  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১০:২৩ পূর্বাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

না’রীদের পু’রুষের প্রতি দু’র্বল করে তোলে বেশকিছু গুন। আর এইসব গুনের মধ্যে উচ্চতা, গায়ের রং বা বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়। প্রতিটা না’রী কা’ঙ্ক্ষিত পুরুষের মাঝে আরও বিশেষ কিছু খোঁজে বেড়ান। বি’ষয়টা পুরোপুরিই মনো-দৈ’হিক। শ’রীর তো আছেই, সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে আবেগ-অনুভূতিও।একজন না’রীর হৃদয় জয়ে সফল হতে হলে এসব পু’রুষালি গুণের চর্চায় মনোযোগী হতে পারেন এখন থেকেই। পড়ুন এমন ছয়টি গুণের কথা—

ফিটফাট থাকুন: নারীরা দীর্ঘদেহী পুরুষ পছন্দ করেন বটে, তবে উচ্চতাই শেষ কথা নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনি কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। আসল বি’ষয় হলো নারী বুঝতে চায় আপনি নিজের যত্ন নিতে, ফিটফাট থাকতে পারছেন কি না। তারা ভাবেন, যে পু’রুষ নিজের দেখভাল করতে পারেন না, তিনি আমার দেখভাল করবেন কী করে?

সুতরাং, আলুথালু পোশাক, এলোমেলো চুল, নখ না কা’টা বা ম’য়লা থাকা, মোজায় গ’ন্ধ, ম’য়লা শার্ট বা জিনসের উ’দাসীনতার দিন শেষ। হালের না’রীরা এসব একেবারেই পছন্দ করেন না। না’রীর মন পেতে হলে এসব খামখেয়ালিপনা আজই ছাড়ুন।

নিজের রুচি তুলে ধরুন: দামি ব্র্যান্ডের জামা-জুতো হতে হবে বি’ষয়টা মোটেও এমন নয়। আর যদি একটার সঙ্গে বেমানান আরেকটা এই ব্র্যান্ডের শার্ট, ওই ব্র্যান্ডের জুতো, সেই ব্র্যান্ডের জিনস হয় তাহলে তা আপনাকে দেখেই দৌ’ড়ে পা’লাতে পারে যে কেউ। তাই সাধারণ দোকান থেকে কেনা হলেও পোশাকে-আশাকে নিজের রুচি পছন্দটা তুলে ধরুন। আর খেয়াল রাখু’ন তা যেন আপনার শা’রীরিক গড়ন আর গায়ের রঙের সঙ্গে মানানসই হয়। নিজের একটা স্টাইল গড়ে তুলুন। আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি যেমন না’রীদের ‘সন্ন্যাসিনী’ সেজে থাকা পছন্দ করেন না, ঠিক তেমনি আধুনিক না’রীরাও ‘অফিস টাইপ’ পোশাকের পু’রুষদের পছন্দ করেন না।

মুখে হাসি ফোটান: রসবোধ থাকা’টা যে কারও জন্যই উঁচুমানের গুণ হিসেবে বিবেচিত হয়। কাঙ্ক্ষিত পু’রুষের চ’রিত্রে না’রীরা এটা খোঁ’জেন। প্রাত্যহিক জীবনে এমনিতেই বহু ঝু’ট-ঝা’মেলা নিয়ে ত্’যক্ত-বি’র’ক্ত হয়ে থাকার মতো যথেষ্টই কারণ থাকে না’রীদের। তাই একজন মনমরা টাইপ সঙ্গী তাদের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। তাই নিজে হাসুন, তার মুখেও হাসি ফোটান।

তবে খেয়াল রাখতে হবে ঠা’ট্টা-তা’মাশা করতে গিয়ে সব সময়ই অন্য কাউকে খা’টো করা, আ”ঘা’ত করা মোটেই কাজের কথা না। অনেক না’রীই এটা রীতিমতো অপছন্দ করেন। আর যে পুরুষ হাসিমুখে নিজের ভু’ল স্বী’কার করতে পারেন, নিজেকে নিজেই ম’শকরা করতে পারেন, তার প্রতি না’রীদের আকর্ষণ কতটা তী’ব্র সে বি’ষয়ে আমরা কিছু বলব না, আপনি নিজেই তা পরীক্ষা করে দেখু’ন।

তাকে বুঝতে দিন যে আপনি যত্নবান: না’রীরা সব সময়ই বারবারই এটা নিশ্চিত হতে চান যে তাকে কেউ ভালোবাসছেন, তার খেয়াল রাখছেন। তার হাত ধরে হাঁটা, সুযোগ পেলে একসঙ্গে সূর্যাস্ত দেখা—হোক তা বারান্দায় দুই মিনিটের জন্য, মাঝেমধ্যেই জ’ড়িয়ে ধ’রা, রাস্তা পেরোনোর সময় তার খেয়াল রাখার মতো কাজগুলোকে মোটেই অ’বহেলা করবেন না। আপনার এসব ছোট ছোট অভ্যাস থেকে অনেক কিছুই বোঝা যায়। কখনো কখনো রাস্তায়, বেড়াতে গিয়ে সবার সামনে তার হাত ধরে হাঁটা মানে আপনি তাকে নিয়ে গর্বিত। তবে এ চর্চা যেন হয় জ’ড়তাহীন, সাবলীল আর আতিশয্য ব’র্জিত।

ও চোখে চোখ পড়েছে যখনই:তার চোখে চোখ রেখে তাকান। মিষ্টি করে একবার হাসুন। ভালোবাসার চোখে সরাসরি তার চোখে তাকালে একজন নারী যে অ’নুভূতি পান তার তুলনা করা দু’ষ্কর। আপনার ওই চাহনিতে নিজেকে লাখে একজন মনে হতে পারে তাঁর। আর মাঝেমধ্যেই চোখে চোখ রেখে তাকানোটা জরুরি। কেননা, অনেক কথায় যা হয় না, চোখের ভাষায় সেটা বলা হয়ে যেতে পারে।