প’রকীয়ায় তছনছ তাদের সুখের সংসার

| আপডেট :  ২১ আগস্ট ২০২২, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২১ আগস্ট ২০২২, ০৪:০৯ অপরাহ্ণ

সম্পর্কের ভিত তৈরি হয় বিশ্বাস ও ভালোবাসার বন্ধনে। কিন্তু সেই বিশ্বাসেই যখন আ’ঘাত লাগে, তখন সম্পর্ক বা সংসার তাসের ঘরের মতো ভাঙে। একে অপরের ও’পর থেকে বিশ্বাস চলে যায়। মন খা’রাপ হতে থাকে। কী করা উচিত তখন, সেসব কোনো কিছুই যেন মাথায় আসে না।

এ রকম পরিস্থিতির মুখে অনেকেই পড়েছেন। অনেক নারীই এ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন যে, তাদের স্বামী হয়তো জীবনের কোনো না কোনো সময়ে তাদের ঠকিয়েছেন। আবার এটাও হয়েছে যে, নারীরাই হয়তো প’রকীয়া করেছেন।

কিন্তু এ প’রকীয়ার পর আর তাদের বিবাহিত জীবন একইরকম থাকেনি। আর তা না থাকাই স্বাভাবিক। প’রকীয়া করলে কেমন হয় তার পরবর্তী বিবাহিত জীবন? এমন ৫ নারী জানিয়েছেন তাদের নিজের অভিজ্ঞতার কথা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই নারীদের সুখের সংসার প’রকীয়ার কারণে যেভাবে ত’ছনছ হয়ে যায় চলুন দেখে নেয়া যাক-

খুব খা’রাপ লাগে, অনুতাপ হয় আমি আমার স্বামীর সঙ্গে প্র’তারণা করেছিলাম। যদিও আমি তা করতে চাইনি। কিন্তু দিনের পর দিন সে আমাকে কোনো গুরুত্বই দিত না। যেন আমি তার জীবনে কেউ নই। আমি তাকে অনেকবার বলেছিলাম। কিন্তু অনেক বলার পরও যখন কোনো পরিবর্তনই হলো না, আমি ভাবলাম যে আর নয়, এবার নিজের মতো করেই বাঁচতে হবে। আমি আর ভালোবাসার জন্য বারবার তার কাছে অনুরোধ করব না।

কিন্তু তাকে একবার ঠকিয়ে অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরই নিজের মধ্যে অনুতাপ হতে শুরু করে। নিজেকে দো’ষী মনে হতে থাকে। আমি তাকে সব কথা জানাই। আমাদের সম্পর্কে তারপর নানারকম টানাপোড়েন চলেছে। কিন্তু আমাকে সে কখনও এই প্রশ্ন একবারও করেনি যে, আমি কেন তা করলাম।

বাচ্চার কথা ভাবতে হয়েছিল আমি সেই সময়ে বিজনেস ট্রিপে ছিলাম। তখনই আমি অন্য কারও সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ি এবং আমার স্বামীকে ঠকাই। এরপর আমরা দুজন নিজেদের মতো আছি। সে তার মতো কাজ করে। আমি আমার মতো অফিস নিয়ে ব্যস্ত। আমি স্বামীর জন্য কিছু অনুভবও করি না।

কিন্তু আমাদের এক স’ন্তান আছে। তার কথা ভেবে আমার থাকতে হয়। তিনি আমার স’ন্তানের বাবা। আমাদের দুজনের সম্পর্ক ভাঙলে, সে একটি ভে’ঙে যাওয়া পরিবারে বড় হবে। আর আমি তা চাই না।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েছিলাম আমার স্বামী আমাকে ঠকিয়েছিল। সেটা শুনে আমার ভীষণ ভীষণ খা’রাপ লেগেছিল। আমি ওর সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দিই। শুধু মেসেজ পাঠিয়ে কথা বলতাম। সরাসরি সামনাসামনি কথা বলতাম না। সেই মানুষের সঙ্গে কথা বলতে আমার বাধত, যে আমাকে ঠকিয়েছে। তারপর আমরা দুজনেই কাপল থেরাপি নেয়ার কথা ভাবি। তাই করিও। এরপর ধীরে ধীরে আমি ওকে ক্ষমা করে দিই। এখন আমরা আগের থেকে ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

আমিও ওকে ঠকাই আমার স্বামী তার সেক্রেটারির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তার সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ হয় এবং আমাকে ঠকায়। আমিও সে সময় ভাবি, আমি আর ‘ভালো স্ত্রী’ হয়ে থাকতে চাই না। কারণ সে আমার সব বিশ্বাস ন’ষ্ট করেছে। আমিও অন্য পুরুষের সঙ্গে ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’ করি। সত্যি বলতে, এ কাজের জন্য আমার মধ্যে আর কোনো অনুতাপ নেই। অনেক দোষারোপ করেছি একে অপরকে। অনেক চোখের পানিও ফে’লেছি। কিন্তু যে যার মতো আমরা আবার এগিয়ে গিয়েছি।

মেনে নেয়া যায় না আপনার সঙ্গী আপনাকে ঠকানোর পরে তাকে খুব সহজেই ছেড়ে চলে যাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ তার সঙ্গে দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন আপনি। অনেক স্মৃ’তি জড়িয়ে আছে। আমার স্বামীর সঙ্গে কলেজে আলাপ হয়। প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় আমরা একসঙ্গে আছি। সেই সঙ্গী আপনাকে ঠকাচ্ছে এই কথা ভাবতেও ক’ষ্ট হয়! যদিও সে এখন আমাকে বারবার বলে যে, সে আমাকে আর ঠকাচ্ছে না। কিন্তু আমি ওকে আর বিশ্বাস করি না। আমি সম্পর্ক ছেড়ে বেরোতে চাই, কিন্তু ভ’য় পাই। কারণ আমার মনে হয় আমি একা হয়ে যাব।

সূত্র: এই সময়