প্রবাসীর জীবনসঙ্গীরা যেসব কারণে প’র’কীয়া প্রেমে আ’সক্ত হচ্ছে

| আপডেট :  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০২:২৩ অপরাহ্ণ | প্রকাশিত :  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০১:২০ অপরাহ্ণ

আগের দিনের রাজা বাদশাহর যুগ থেকে কল্প কা’হিনীর মুখরোচক গল্প কিংবা বর্তমান যুগে পরকী’য়া প্রেম শব্দটির সাথে কম বেশী সকলেই পরিচিত। ঐতিহাসিক রাজতন্ত্রের আমলে রাজা কিংবা রানী পরকী’য়া প্রেমের শি’কার হয়েছেন।

এই ক্ষেত্রে রানীরা ছিলেন এগিয়ে। হাল আমলেও ঘরের স্ত্রীদের সংখ্যাই বেশী বলে প্রতিয়মান। পুরুষগণ যে খুব একটা পিছিয়ে তা কিন্তু নয়। নারীদের পরকী’য়া প্রেমে জ’ড়িয়ে যাবার বিভিন্ন কারন থাকলেও পুরষদের বেলায় হিন্দি বা উর্দু ভাষার একটি প্রবাদ অনুপ্রেনার মূল বিষয়। প্রবাদ টি এ রকম “ঘরকা মুরগি ডাল বরাবর”।

এ বিষয়ের উপর হিন্দিতে বেশ কয়েকটি ছবি হয়েছে এখন শুধু মাস্তি ছবিটির নাম মনে পড়ছে। পুরুষদের বেলায় আমাদের দেশীয় একটি প্রচলিত কথা রয়েছে যেমন অন্যের বউ বেশি সু’ন্দরী।

স্ত্রীদের বেলায় কোন প্রবাদ কিংবা কোন প্রচলিত কথা এখন মনে পড়ছে না। তবে দীর্ঘ প্রবাস জীবন চাকুরীর সুবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়ার সুযোগে এবং বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে মেশার সুযোগে জা’না গেছে নানা স’ত্য ঘ’টনা।

এ ছাড়া পত্রিকা পড়ার বয়স থেকে নানা রকম খু’ন রাহাজানির নেপথ্যে ছিলো পরকী’য়া প্রেম। পরকিয়া প্রেম কি এবং কেন? : বিবাহিত স্ত্রী বা পুরুষ বিপরীত লি’ঙ্গের প্রতি প্রেম ব’ন্ধনে আব’দ্ধ হলে আমদের দেশে আভিধানিক ভাষায় পরকী’য়া বলা হয়।

পাঠকের কাছে নানা কারন থাকতে পারে, আমা’র মতের সাথে একটি কারণের যদি মিল খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে আজকের লেখার সার্থকতা।দীর্ঘ সময় স্বামী থেকে দূ’রে থাকার কারনে স্ত্রী’রা পরকী’য়া জ’ড়াতে পারেন।

স্বামী থেকে দুরে থাকার কারনে চিঠির যুগে চিঠি আর ডিজিটাল যুগে মোবাইল ফোনের অপেক্ষায় সঙ্গিনী সতী স্ত্রী’রা ভুগেন একাকীত্বে।সংসারের টানা প’ড়েন জ্বা’লা যন্ত্রণার কথা কাউকে জা’নাতে পারেন না।

সে সুযোগে যদি কোন ব’ন্ধু আবির্ভুত হয় তার জী’বনে স’স্পর্কে র’ক্তের ভাই বোন ছাড়া যে কেউ হয়ে উঠেন কাছের মানুষ।সে থেকে সূত্র পাত হয় পরকী’য়ার।

এই ক্ষেত্র উঠতি বয়েসের যুবকরা হন সেরা প্রেমিক। যুবক ছেলে লাইসেন্স সহ মেশিন পেয়ে কাম বাসনা মে’টাতে অন্যের স্ত্রীকে দেখান স্বপ্ন। স্ত্রী’রা ভুলে যান স্বামী।

অধিকতর স্মা’র্ট যুবকরা ফায়দা লু’টতে পারে ইচ্ছে মত, অর্থ এবং যৌ’ন ক্ষুদা দুটি। দু একটি এমন হয় সঙ্গী বা সঙ্গিনীর স্বামী বা স্ত্রী কাছে থাকার পরও জ’ড়িয়ে যান পরকী’য়ার প্রেম যমুনায়।

কোলের শি’শু থেকে যে কোন বয়সের সন্তানের কথা বেমালুম ভুলে যান। সখী ভালবাসা করে কয়। প্রেম মানে না জাত, মানে না ধ’র্ম, বর্ণ, বয়স! এ কেমন টান? অনেক সময় স্বামী বা স্ত্রী’র সাথে পরিচয় করিয়ে দেন তার ব’ন্ধুদের।

প্রবাসীরা নিজে’র ভাই ব’ন্ধু আত্বীয় স্বজনদের কাউকে বলেন একটু খেয়াল রাখিস।ব্যাস হয়ে গেল প্রয়োজনের চাইতে একটু বেশী খেয়াল রাখতে গিয়ে শুরু হয়ে যায় পরকী’য়া।

যৌ’ন সুখ থেকে ব’ঞ্চিত নারীরা উত্তাল যৌ’বনের সুধা পানে অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে কোন এক দু’র্বল মু’হুর্তে কাছের কোন ব’ন্ধু শুভাকাঙ্খীর অস্ফুট আ’হ্বানে সাড়া দেন বা দিতে বা’ধ্য হন ছাত্রীর সাথে শিক্ষক বা গৃহ শিক্ষকের সাথে গৃহ বধুর কাছা কাছি আসা, আমাদের গ্রাম দেশে ফ্রি মাইন্ডে চলার প্রবনতা বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন।

স্যাটেলাইট নাটক সিরিয়ালকে এ যুগে কিছুটা দো’ষ চা’পানো হয়। রতি ক্রিয়াকে, স্বামী স্ত্রী’র মেলা মে’শার কৌশলকে কিন্তু আদিম যুগের লীলা খেলা বলা হয়। এই কাজটি পাগলও বোঝে।

রসিকতা করে অনেকে মুন্সী টাইপের লোকদের বেশী ছেলে মেয়ে থাকার উদাহরন দিয়ে থাকেন। সব কিছুর মূলে যে যৌ’ন আকাংখা কাজ করে এর সাথে দ্বিমত পোষন করার কোন কারন আছে বলে মনে হয় না, এর পাশাপাশি অন্য যুক্তি দেখানো যেতে পারে।

অনেক নারী বিয়ের পূর্বে একাধিক পুরুষের সাথে কিংবা অনেক পুরুষ একাধিক মেয়ের সাথে যৌ’ন স’স্পর্ক রাখেন, একজনের সাথে ও থাকতে পারে, বিয়ের পর পূর্বের সে সুখ আর খুঁ’জে পান না জ’ড়িয়ে প’ড়েন পরকী’য়ায়।

দীর্ঘ দিন স্ত্রীকে প্রেম ভালবাসা যৌ’ন সুখ থেকে ব’ঞ্চিত করা, প্রবাস জীবন, পুরুষের যৌ’ন দু’র্বলতা, আর্থিক অ’সচ্ছলতা, স্ত্রীকে পরিবারে প্রাধান্য না দেয়া, অধিক শা’সনে রাখা, ব্যবসায়িক বা চাকুরীর ব্যস্ততায় স্ত্রীকে সময় না দেয়া, মল ত্যা’গে র মত কোন রকম নিজে’র কাম রস নির্গত করা সঙ্গিনীর চাহি’দানুযায়ী রতি মি’লন না করা, নুন্যতম সন্মান, ভালবাসা থেকে দুরে স্বামী নিজে’র যৌ’ন রস ডেলে দিয়ে ঘুমিয়ে প’ড়েন, জানতে চান না সঙ্গিনীর চাহি’দা পূর্ণ হয়েছে কিনা?

যৌ’ন লীলার অভিজ্ঞতার অ’ভাব স্ত্রীকে বা’ধ্য করে নতুন সঙ্গিনী খুঁ’জতে। স্বামী নিজে ব’ন্ধু বেশে নিজে’র ঘরে কাল সাপ ডেকে আনা মানে এমন কাউকে স্ত্রী’র নিকটবর্তী হতে দেয়াই এক জন স্ত্রীকে পরকী’য়া প্রেমে জ’ড়াতে বা’ধ্য করে।

তেমনি একজন নারী তার স্বামীকে যুগ উপযোগী যৌ’ন সুখ দিতে না পারা, স্বামীর আর্থিক উপার্জনের সাথে খাপ খাওয়াতে না পারা, স্বামীর ইচ্ছা মত চলতে না পারা।

পরিবারের সবাইকে আপন করে নিতে না পারা, অপব্যায়ী হওয়া ভিন্ন পুরুষের আসক্তি। গীবত, জেদ, নিজে’র বান্ধবীকে, ছোট বা বড় বোন স্বামীর সাথে বেশী মিশতে দেয়া সহ নানা কারনে স্বামী ভিন্ন স্বাদের জন্য পরকী’য়ায় পড়তে পারেন।

প্রেম যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতে শুরু হতে পারে। আমদের দেশের কিছু পরকী’য়া বড়ই অসামঞ্জস্য পূর্ণ যেমন- ভাসুরের সাথে ছোট ভাইয়ের বৌয়ের, মামীর সাথে ভাগ্নের, খালা সাথে বোনের ছেলের।

শশুরের সাথে ছেলের বৌয়ের কিছু কিছু স’স্পর্কে মানুষ নাক সিটকান না যেমন, শিক্ষকের সাথে ছাত্রীর, ভাবির সাথে দেবরের, সাবেক প্রেমিক প্রেমিকারে সাথে, ব’ন্ধুর স্ত্রী’র সাথে।

প্রবাসী স্ত্রী’রা স্বামীর ব্যস্ততার জন্য সময় না দেয়ার কারনে স্বামীর ব’ন্ধু, এলাকার কেউ কিংবা কোন দোকানদার, পথে দেখা অপরিচিত জনের সাথে পরকী’য়ায় জ’ড়িয়ে যান।

মোবাইল ব্যাধিতে আ’ক্রান্ত অনেকে, হায় হ্যালো ক’রতে ক’রতে মোবাইল সে’ক্স পর্যন্ত গড়াচ্ছে। স্বামী কিংবা স্ত্রীকে ফাঁ’কি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন যৌ’ন খুদা।

আজকাল বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পরকী’য়া প্রেমে জড়িয়ে যাচ্ছে প্রবাসীদের গৃহ বধুরা। যৌ’ন সুখের লালোসায় প্রবাসীর স্ত্রী তুলেন দেন তার কাছে গচ্ছিত রাখা অর্থ, ইজ্জত দুটোই।

প্রবাসীদের স্ত্রীদের পরকী’য়ার জন্য স্বামীর দীর্ঘ দিন দুরে থাকাকে অনেকে দায়ী করেন। কাছে থাকলে সুখ –দুঃ’খ, ক’ষ্ট ভাগ করে সুন্দর সুখের নীড় গড়ে তোলা অ’স্বা’ভাবিক কিছু নয়।

রতি লীলায় যদি স্বামী কিংবা স্ত্রী অপারদর্শী হন তাহলে নতুন সঙ্গী খুঁ’জে নেয়ার আশং’কা সৃ’ষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী’র খোলামেলা আলোচনা, একে অপরের সাথে ভালো বোঝা পড়া, সঙ্গী -সঙ্গিনীর স’মস্যা গু’লি দূ’র করা, যৌ’ন সঙ্গমে সাংসারিক স’মস্যা তুলে না ধ’রা সহায়ক হতে পারে বলে অনেক ডাক্তার প’রামর্শ দিয়ে থাকেন।

অন্য দিকে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস, আদালত, সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, প্রবাস সবখানেই চলছে পরকী’য়ার রঙ্গ লীলা। যার কারন একটাই যৌ’ন ক্ষুদা।

অফিসের বস, কলিগ, নিম্ন পদস্থ, উচ্চ পদস্থ, রাজনীতিবিধ, সমাজ সেবী, মিডিয়ার লোকজন সহ সবাই প্রেম ভালবাসার জালে যেমন আঁ’টকাচ্ছেন তেমনি পড়ছেন পরকী’য়া প্রেমে।

ভাঙ্গছে সাজানো গোছানো সুখের সংসার। হচ্ছে খু’ন, রাহজানি। বিশ্বা’সের অ’ভাব যেমন কাজ করছে, অর্থ, লোভ-লালোসা হিং’সা-প্রতি হিং’সা, প্রতিশো’ধ পরিবেশ-প’রিস্থিতি সব কিছুই যেন দা’য়ী পরকী’য়া প্রেমের জন্য। একমাত্র বিশ্বা’স, বিশ্বা’সের মর্যাদা, ধ’র্মীয় মূল্যবোধ লোভ লালসাহীন জী’বন ব্যব’স্থাই এই রো’গ মু’ক্তির এক মাত্র পন্থা বলে আমা’র বিশ্বা’স।